ওয়েব ডেস্ক : আজ ২১শে জুলাই (21 July)। ১৯৯৩ সালে এই দিনে সিপিআইএমের পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জনের। সেই স্মৃতিতে তৃণমূলের (TMC) তরফে এই দিনটিকে শহিদ দিবস হিসাবে পালন করা হয়ে থাকে। ৩২ বছর আগের এই ঘটনা এখনও ভুলতে পারেননি সাধারণ মানুষ। ২০২৫ সালে আজকের এই দিনে শহিদ হিসাবে পালন করছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। প্রতিবারের মতো এবারেও ধর্মতলায় শহিদদের স্মৃতিতে সভা করতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল। ইতিমধ্যে সেই সভায় যোগ দিতে কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য জেলা থেকে আসছেন সাধারণ মানুষ। রাস্তায় চোখে পড়েছে মানুষের ভিড়।
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে ধর্মতলায় ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। অনেকেই রবিবার এখানে চলে এসেছেন। অনেকে রাত ১২টা-১টা থেকে ধর্মতলায় মঞ্চে বসে আছেন। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনেও সোমবার সকাল থেকে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। রাস্তায় ছেয়ে গিয়েছে তৃণমূলের ফ্লেক্স, পোস্টারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কাটআউট বসানো হয়েছে স্টেশন চত্বরে। ইতিমধ্যে শতাধিক বাসে করে কলকাতায় এসে গিয়েছেন বহু মানুষ। অন্যদিকে শহরের আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে পাঁচ হাজার পুলিশ কর্মী।
আরও খবর :
শ্যামবাজারের পাঁচ মাথা মোড়ে পুলিশের তৎপরতা দেখা গিয়েছে। সেখানেও হাজার হাজার বাস ধর্মতলার দিকে যেতে শুরু করে দিয়েছে। আজকের এই কালো দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। আজকের দিন নিয়ে সাধারণ মানুষ সহ তৃণমূল (TMC) কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে হাজারের কাছা কাছি বাস শহরে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে নদিয়া, হুগলি, শিলিগুড়ি ও বাঁকুড়ার একাধিক বাস প্রবেশ করেছে শহরে।
জানা যাচ্ছে, প্রত্যেকটি মিছিলকে সামলানোর দায়িত্বে থাকবেন একজন এসি পদমর্যাদার অফিসার। সঙ্গে থাকবেন এস আই ও সার্জেন। তবে সাধারণ নিত্য অফিস যাত্রীদের জন্য যাতে বাস থাকে তার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেদিকেও নজর রাখছে পুলিশ (Police)। নিত্যযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কোথাও যেন যানযটের পরিস্থিতি না তৈরি হয়। সেদিকেও নজর রাখছে পুলিশ।
২১শে জুলাইয়ের সভা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রবিবার X হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই আমাদের ১৩ জন সহযোদ্ধা সিপিআইএমের পুলিশের বর্বরোচিত অত্যাচার এবং নির্মম গুলিতে অকালে প্রাণ হারান। ওই দিন বন্দন দাস, মুরারী চক্রবর্তী, রতন মণ্ডল, বিশ্বনাথ রায়, কল্যাণ ব্যানার্জী, অসীম দাস, কেশব বৈরাগী, শ্রীকান্ত শর্মা, দিলীপ দাস, রঞ্জিত দাস, প্রদীপ রায়, মহম্মদ খালেক এবং ইনু শহিদ হন। তাঁদের বিনম্র চিত্তে প্রণাম জানাচ্ছি এবং শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করছি। এছাড়াও, সকল ভাই-বোনেরা যাঁরা বিভিন্ন আন্দোলন ও কর্মসূচিতে শহিদ হয়েছেন, তাঁদের সকলকে এই শহিদ তর্পণ দিবসে জানাই প্রণাম ও আন্তরিক শ্রদ্ধার্ঘ্য। ধর্মতলায় বাংলার সকল মা-মাটি-মানুষকে আমার সাদর আমন্ত্রণ রইল। আসুন, মহান শহিদ তর্পণে অংশ নিন এবং একুশে জুলাইয়ের সমাবেশকে সাফল্যমণ্ডিত করুন।’
দেখুন অন্য খবর :