ওয়েব ডেস্ক : ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর (SIR)! যা নিয়ে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। তবে এ নিয়ে এবার মুখ খুলল কমিশন। দেশে কেন এসআইআর প্রয়োজন? রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার তা তুলে ধরলেন।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রতিবছর ভোটার তালিকায় (Voter list) যে সংশোধন হয়, তা ‘র্যান্ডম’ উপায়ে করা হয়ে থাকে। গোটা দেশে ১০ বারের বেশি এসআইআর (SIR) হয়েছে। পাশাপাশি ভোটার তালিকা শুদ্ধিকরণের জন্য এসআইআর যে দরকার তা জানিয়েছিন তিনি। এর পাশপাশি ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া সম্পর্কেও ব্যাখ্যা করেছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেছেন, প্রথমে রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-রা মিলে একটি খসড়া তৈরি করেন। সেটিতে কোনও ত্রুটি থাকলে আবেদন করা যায়। সেই আবেদনগুলি এসডিএম যাচাই করেন। এর পর খসড়া ও চূড়ান্ত তালিকা দেওয়া হয় রাজনৈতিক দলগুলিকে। তার পরেও তালিকা নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে প্রথমে জেলা শাসকের কাছে আবেদন করা যায়। কিন্তু সেখানে কোনও কাজ না হলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকরিকের কাছে এ নিয়ে আবেদন করা যেতে পারে।
আরও খবর : সাউথ ব্লক থেকে সরতে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর!
এর পাশপাশি কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, গোটা দেশে তিন লক্ষের বেশি ভোটার কার্ডের (Voter Crad) এপিক নম্বর একই ছিল। সেগুলিকে বদলে দেওয়া হয়েছে। কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, সংবিধান অনুসারে শুধুমাত্র ভারতের নাগরিকরা দেশের বিধায়ক বা সাংসদ বাছতে পারবেন। যারা এদেশের নাগরিক নন, তারা ভোট দিতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সামনেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। তার আগে সে রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর (SIR) শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। গত ১ অগাস্ট এ নিয়ে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এ নিয়ে কমিশনকে আক্রমণ করেছিল বিরোধীরা। তবে এই নিবিড় সংশোধন নিয়ে রবিবার সব প্রশ্নের উত্তর দিল কমিশন।
দেখুন অন্য খবর :