পঁচিশে মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে ইমামি গ্রুপ অঙ্গীকার করেছিল আই এস এল-এর জন্য তারা ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে জোট বাঁধবে। কিন্তু তার পর এক মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। কিন্তু দু পক্ষের মধ্যে এখনও সংযুক্তি হল না। এর জন্য প্রাথমিকভাবে ইমামিকেই দায়ী করতে হবে। কারণ চুক্তিপত্র বানাতে তারাই দেরি করেছে। এবং সেটি ইস্ট বেঙ্গলের কাছে পাঠানোর পর লাল হলুদ আইনজীবীরা তার মধ্যে কয়েকটি ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিল। ইমামির সঙ্গে সে সব নিয়ে ইস্ট বেঙ্গল কর্তাদের সামনাসামনি আলোচনা হয়েছে। দু পক্ষের মধ্যেই চুক্তির ব্যাপারে গভীর আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু এখনও সইসাবুদ হয়নি।
হয়তো খুব তাড়াতাড়ি সেই সব হবে। কিন্তু এর পর দল গড়তে নেমে ইস্ট বেঙ্গল কি প্লেয়ার পাবে? সেটাই এখন সমর্থকদের চিন্তার কারণ। গত দু বছর ইস্ট বেঙ্গল খেলছে আই এস এল-এ। দু বছরই খুব বাজে পারফরম্যান্স। প্রথম বছর এগারো টিমের মধ্যে নয় নম্বর। আর দ্বিতীয় বছর এগারো টিমের মধ্যে এগারো। এবার অনেক আগে থেকে ইমামির সঙ্গে সংযুক্তিকরণের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় ভাল করে টিম গড়ার একটা সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু এখন যা অবস্থা সে রকম কিছু আশা করা অন্যায়।
প্রথমে কোয়েস এবং তারপর শ্রী সিমেন্টসের সঙ্গে ইস্ট বেঙ্গলের সংযুক্তিকরণের পর টিম গড়া এবং টিম চালনা দুটোই দেখত ইনভেস্টররা। এবারও সে রকমই হবে। অর্থাৎ ইমামির কর্তারাই টিম গড়বেন এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনা করবেন। গত দু বছর ইস্ট বেঙ্গল খেলেছিল শুধু আই এস এল-এ। কিন্তু এবার তাদের কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ, ডুরান্ড কাপ এবং আই এফ এ শিল্ড খেলার কথা। সঙ্গে আই এস এল তো আছেই। এবং এটা করতে গেলে দুটো টিম করতে হবে। কারণ কলকাতা লিগ যে টিম খেলবে সেই টিম নিশ্চয়ই আই এস এল খেলবে না। আবার অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন এবার ডুরান্ড কাপ খেলা বাধ্যতামূলক করেছে। সেখানে আই এস এল-এর এগারো টিমই খেলবে। তাই ডুরান্ডে ইস্ট বেঙ্গলের আই এস এল টিমই খেলার কথা। কিন্তু টিমই তো হয়নি। সব মিলিয়ে যত দিন যাচ্ছে সামনের মরসুমে ইস্ট বেঙ্গলের সাফল্যের সম্ভাবনা ক্রমশ কমছে।