Sunday, August 3, 2025
HomeScrollভাঙনের গ্রাসে সামশেরগঞ্জ, গঙ্গায় তলিয়ে গেল ৮টি বাড়ি

ভাঙনের গ্রাসে সামশেরগঞ্জ, গঙ্গায় তলিয়ে গেল ৮টি বাড়ি

Follow Us :

মুর্শিদাবাদ: ভোট আসে, ভোট যায়। প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাসের উপর নির্ভর করে প্রতিবছর বুক বাঁধে গ্রামের মানুষ। নিয়ম মেনে বর্ষা আসে। ফুলতে থাকে নদী। ভাঙনে ভিটেমাটি গিলে ফেলে গঙ্গা। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভয়াবহ ভাঙনের স্মৃতি ফিরে এল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের মানুষের কাছে। সোমবার রাত থেকে ভয়াবহ ভাঙনে তলিয়ে গেছে ৮টি বাড়ি। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে শিবপুর ও ধানঘরা হিরানন্দপুর এলাকার মানুষ। শিবপুরের ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষদের বাসুদেবপুর হাইস্কুল ও জুনিয়র বেসিক স্কুলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  কলকাতা টিভির খবরের জেরে ৪৮ ঘণ্টা পরে বালির বস্তা ফেলে তড়িঘড়ি ভাঙন রোধে কাজ শুরু করে প্রশাসন।রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় ২ নম্বর ব্লকের সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীধরপুর গঙ্গার ভাঙনের কবলে পড়েছে ১০০ টি পরিবার। বালির বস্তা ফেলে প্রাথমিকভাবে ভাঙন রোধের কাজ শুরু হওয়ায় কিছটা স্বস্তি পেয়েছে পরিবারগুলি।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় মৃত সস্ত্রীক বিজেপি নেতা

কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নন ভাঙন কবলিত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, ভাঙন রোধে অবিলম্বে স্থায়ী সমাধান চাই। বর্ষার শুরুতে প্রতিবছর ভাঙনের মুখে পড়ে মুর্শিদাবাদের গঙ্গা পাড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ। ভাঙনের মুখে প্রাথমিকভাবে বালির বস্তা দেওয়া হলেও স্থায়ী সমাধান করা হয় না। ২০২০ সালে ঠিক এই সময়ে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় বিঘা বিঘা চাষযোগ্য জমি। প্রায় শতাধিক বাড়িঘর চলে যায় গঙ্গার গ্রাসে। ভিটেমাটি হারিয়ে এখনও নিঃস্ব হয়ে জীবন যাপন করছেন কয়েকশো পরিবার। বারবার প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দলের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। বছর ঘুরতেই ধেয়ে আসছে নদী, ভিটে মাটি হারিয়ে সর্বশান্ত হয় যাচ্ছে মানুষ। মুর্শিদাবাদ প্রশাসনের বক্তব্য, রাজ্য সেচ দফতর পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তবেই সমস্যার সমাধান হবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular


Deprecated: Automatic conversion of false to array is deprecated in /var/www/ktv/wp-content/themes/techinfer-child/functions.php on line 39