লন্ডন: এক সময় বিদেশের মাটিতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের চোখ উঁচিয়ে খেলতে শিখিয়েছিলেন প্রাক্তন অধিনায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আজকের ভারতীয় দল বিদেশের মাটিতে অনেক বেশি সাবলীল। আর সেই কৃতজ্ঞের প্রাপক একমাত্র মহারাজ, এমনই মনে করেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সৌরভের চোখে যে আগ্রাসন ছিল তা প্রতিফলিত হয়েছে বিরাট কোহলির মধ্যে। কোটি কোটি মানুষ দেখেছেন ২২ গজে বিরাটের ক্রিকেট উন্মাদনা। আর এই উন্মদনার জন্যই হয়তো কোহলির এত শুভানুদায়ী। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা গেল বিরাটের এই আগ্রাসন নিয়ে প্রশংসা।
ধারাভাষ্যকর হিসেবে ওভালে উপস্থিত রয়েছেন সৌরভ। টসে জিতে বোলিং বেছে নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে মহম্মদ সিরাজ। সিরাজের প্রথম শিকার উসমান খোয়াজা সিরাজের দুর্দান্ত আউটস্যুইং প্যাভেলিয়ানে ফেরায় অজি ওপেনারকে। ভারতের প্রথম ইউকেট পড়তেই চেনা দাপটে দেখা যায় বিরাট কোহলিকে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের এই উনমাদনা দেখে প্রশংসা শোনা যায় ধারাভাষ্যকর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের, যিনি একসময় বিদেশে মাটিতে কার্যত রাজ করেছেন।
মাইক হাতে সৌরভকে এদিন বলতে শোনা যায়, “নেতৃত্ব না দিলেও বিরাটের এই আগ্রাসন দলকে সাহস জোগায়। অধিনায়ক না থাকলেও তাঁর ভঙ্গির উপর অনেক কিছু নির্ভর করে।“ সৌরভের মুখে বিরাট প্রশংসা শুনে খানিকটা হতভম্ব ক্রিকেটপ্রেমীরা। কারণ বিগত দিনে তাঁদের দুই জনের মধ্যে যে ঠান্ডা যুদ্ধ তা দেখেছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, সৌরভ বিসিআইয়ের সভাপতি থাকাকালীন বিরাটকে নেতৃত্ব থেকে সরতে হয়। এই ঘটনা নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল ক্রিকেট মহলে। বিরাট ভক্তদের বক্তব্য ছিল, মহরাজের উপর ক্ষব্ধ হয়েই অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন তিনি। যদিও এই ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষই প্রকাশ্যে কিছু বলতে চায়নি কখনও। তবে আইপিএলের মাঠে প্রকাশ্যে সৌরভের বিরুদ্ধে আঙুল তুলতে দেখা গিয়েছে কোহলিকে। তার পর তৈরি হয়েছিল বহু জল্পনা। আবারও সব জল্পনাকে স্তব্ধ করে দেন মহারাজ। ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতার পর দিল্লির মেন্টর সৌরভ নিজে গিয়ে বিরাটের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেন।
বুধবার থেকে শুরু হল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। ওভালের মাঠে ভারতের মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া। প্রথন সেশনেই দুই উইকেট পড়ে গিয়েছিল অজিদের। প্রথন উইকেটের পরই বিরাটের উন্মদনা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন মহারাজ।