নয়াদিল্লি: বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবথেক বড় ব্যবধানে জিতল অজিরা। বুধবার ডাচদের তারা হারাল ৩০৯ রানে। এর আগে ২৭৫ রানে হারানোর রেকর্ড ছিল তাদেরই, ২০১৫ সালে। মাইকেল ক্লার্কের সেই দলের রেকর্ড পেরিয়ে গেলেন কামিন্সরা।
প্রথমে ব্যাট করে ৩৯৯ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এখানেও একাধিক রেকর্ড হল। বিশ্বকাপের মঞ্চে এই নিয়ে ছয় নম্বর সেঞ্চুরি করে ফেললেন ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner)। তিনি ছুঁয়ে ফেললেন শচীন তেন্ডুলকরকে (Sachin Tendulkar)। পিছনে ফেললেন রিকি পন্টিং এবং কুমার সঙ্গাকারাকে যাঁদের পাঁচটা করে শতরান আছে। সামনে শুধুই সাতটি সেঞ্চুরি করা রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)।
১) বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম শতরান করলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। নিয়েছেন ৪০টি বল। আগের রেকর্ড ছিল এডেন মার্করামের। ৪৩ বলে শতরান করেছিলেন এই বিশ্বকাপেই।
২) এক দিনের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম শতরান করলেন ম্যাক্সওয়েল।
৩) বিশ্বকাপের ইতিহাসে রানের নিরিখে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জিতল অস্ট্রেলিয়া। নিজেদেরই রেকর্ড ভাঙল তারা। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জিতেছিল ২৭৫ রানে।
৪) রানের নিরিখে ক্রিকেট বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়। শীর্ষে ভারত। এ বছরের শুরুতে তিরুঅনন্তপুরমে শ্রীলঙ্কাকে ৩১৭ রানে হারিয়েছিল তারা।
৫) সপ্তম উইকেটে ম্যাক্সওয়েল এবং প্যাট কামিন্স ১০৭ রানের জুটি গড়েন। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপের ইতিহাসে সপ্তম বা তার নীচের কোনও উইকেটে সবচেয়ে বেশি রানের জুটি এটিই।
৬) অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারের মধ্যে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি শতরান হল ডেভিড ওয়ার্নারের (৬)। পেরিয়ে গেলেন রিকি পন্টিংকে। ছুঁলেন সচিন তেণ্ডুলকরকে। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারের মধ্যে দ্রুততম হিসাবে ২২তম শতরান করলেন। মাত্র ১২৩টি ইনিংস নিয়েছেন। পিছিয়ে রয়েছেন হাসিম আমলা (১২৬) এবং বিরাট কোহলির (১৪৩) থেকে।
৭) নেদারল্যান্ডসের বাস ডি লিড ১০ ওভারে ১১৫ রান দিয়েছেন। এক দিনের বিশ্বকাপে যা সর্বোচ্চ।
৮) বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেটের তালিকায় লাসিথ মালিঙ্গাকে (৫৬) ছুঁলেন মিচেল স্টার্ক। আগে রয়েছেন গ্লেন ম্যাকগ্রা (৭১) এবং মুথাইয়া মুরলীধরন (৬৮)।
ব্যাটিংয়ের শুরুটা খারাপ করেনি নেদারল্যান্ডস। ২৮ রানে প্রথম উইকেট পড়ে তাদের। সেখান থেকে ৮৪ রানে ছয় উইকেট হয়ে যায়। লোয়ার অর্ডারের উপর রোড রোলার চালাতে আসেন লেগস্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা (Adam Zampa)। তিন ওভার বল করে মাত্র আট রান দিয়ে চারটি উইকেট তুলে নেন। এই নিয়ে পরপর তিন ম্যাচে চার উইকেট নিলেন জ্যাম্পা। অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দিয়ে অস্ট্রেলিয়া বুঝিয়ে দিল, তারা আছে।