ওয়েব ডেস্ক: ২০১১-তে মুম্বইয়ের মাটিতেই ধোনির নেতৃত্বে ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। ২০২৫-এও রয়েছে সেই সুযোগ। এবার দায়িত্বে হরমনপ্রীত, ভেন্যু নভি মুম্বই। আরেকবার কি সেই মুহূর্ত ফেরাতে পারবে ভারতের মেয়েরা? এই উত্তরটা হয়তো আর কয়েকঘন্টার মধ্যেই এসে যাবে। তবে ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে খুব একটা সহজ হবে না। কারণ প্রোটিয়াজদের সামনে ২৯৯ রানের পাহাড়প্রমাণ টার্গেট দিয়েছে ভারত।
এদিনের ম্যাচে টস ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ম্যাচের আগে দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টি হয়েছে। ফলে অনেকটা সময় পিচ ছিল ঢাকা। সাধারণত এরকম উইকেট বোলারদের সহায়ক হয়। কিন্তু টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা ভারতীয় দলের সামনে সেভাবে সুবিধা করে উঠতে পারলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। বরং ফাইনালে দুর্দান্ত শুরু করেন শেফালী বর্মা এবং স্মৃতি মন্ধানা। ১০৪ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ হয় দুজনের মধ্যে। ৪৫ রানে আউট হন স্মৃতি। সেমিফাইনালের নায়িকা জেমাইমা রদ্রিগেজ এই ম্যাচে বড় রান পেলেন না। তিনি ২৪ রানে আউট হন। শেফালী বর্মা এদিন সেঞ্চুরি মিস করলেও ৮৭ রান করে বড় স্কোরের ভিত্তি স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল ভারত!
অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরও এদিন সেভাবে বড় রান পাননি। ২০ রানে আউট হন তিনি। অমনজোত কৌর করেন ১২ রান। তবে শেষদিকে হাল ধরেন দীপ্তি শর্মা এবিং রিচা ঘোষ। ৩৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন রিচা। দীপ্তি করেন ৫৮ রান। রাধা যাদবের ব্যাট থেকে এদিন আসে ৩ রান। শেষমেষ ৭ উইকেটে ২৯৮ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আয়াবঙ্গা খাকা। ১টি করে উইকেট পান ননকুলুলেকো ম্লাবা, ন্যান্ডি ডি ক্লার্ক ও ক্লোয়ি ট্রায়ন।
দক্ষিণ আফ্রিকা কি ২৯৯ রান করে প্রথমবারের জন্য বিশ্বকাপ জিততে পারবে, নাকি গত বছর পুরুষদের টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে বিশ্বজয় করে ইতিহাস লিখবে ভারতের মেয়েরা? সেটাই দেখার বিষয়।
দেখুন আরও খবর:







