মিউনিখ, মিলান: প্রত্যাশামতোই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (UCL) সেমিফাইনালে উঠল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি (Manchester City), বিদায় নিল বায়ার্ন মিউনিখ (Bayern Munich)। বুধবার রাতে মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ এরিনায় (Allianz Arena) খেলা শেষ হল ১-১ অবস্থায়। প্রথম পর্বে ৩-০ জিতেছিল ম্যান সিটি। সবমিলিয়ে ৪-১ জিতে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করলেন পেপ গুয়ার্দিওলা (Pep Guardiola)। সেমিফাইনালে সিটির জন্য অপেক্ষা করছে টুর্নামেন্টের সফলতম দল রিয়াল মাদ্রিদ (Real Madrid)। গত বছর এই রিয়ালের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল সিটিকে। এবার প্রতিশোধের পালা।
এর আগেও বলেছি, এই বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যান সিটির বলে মনে হচ্ছে, তার কারণ এর্লিং ব্রট হালান্ড (Erling Braut Haaland)। এতকাল সিটির সব ছিল, দুরন্ত পাসিং, বল দখল, ড্রিবলিং, কিন্তু সঠিক সময়ে সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচ খতম করার লোক ছিল না। কিছুটা দুর্ভাগ্যও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সিটির ব্যর্থতার কারণ। গোটা ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করেও ফিনিশিংয়ের অভাবে হারতে হয়েছে পেপের দলকে। কিন্তু হালান্ড আসায় সেই দুশ্চিন্তা মিটেছে।
আরও পড়ুন: Cristiano Ronaldo | কেন রোনাল্ডোকে সৌদি আরব ছাড়তে হতে পারে?
বুধবার পেনাল্টি মিস করেছেন হালান্ড। কিন্তু তার প্রায়শ্চিত্ত করেছেন ভালো গোল করে। একজন খাঁটি স্ট্রাইকারের যে যে গুণ থাকা দরকার সেই সবকিছু আছে নরওয়ের ছেলেটার। সিটির ডিফেন্স থেকে ক্লিয়ার করে দেওয়া বল বায়ার্নের ডিফেন্ডার দুই ডিফেন্ডার থাকা সত্ত্বেও হালান্ডই হেড করে কেভিন ডি ব্রুইনার (Kevin De Bruyne) পায়ে দিলেন। দিয়েই দৌড়ে জায়গা নিলেন। ডি ব্রুইনা বল ফেরত দিতেই বক্সে ঢুকে গোল করে দিলেন হালান্ড। শেষ বেলায় পেনাল্টি থেকে সান্ত্বনাদায়ক গোল করেন বায়ার্ন অধিনায়ক জোশুয়া কিমিখ (Joshua Kimmich)।
? Introducing your semi-finalists…#UCL pic.twitter.com/4iXSTa9eb6
— UEFA Champions League (@ChampionsLeague) April 19, 2023
আর এক সেমিফাইনালে দেখা যাবে মিলান ডার্বি। ২০০৫ সালের পর ইউরোপীয় ফুটবলের বৃহত্তম মঞ্চে মুখোমুখি ইতালির (Italy) মিলান শহরের দুই ক্লাব। নাপোলিকে (Napoli) হারিয়ে এসি মিলান (AC Milan) আগেই সেমিতে পৌঁছে গিয়েছিল। দুই পর্ব মিলিয়ে বেনফিকাকে (Benfica) ৫-৩ ফলে হারিয়ে শেষ চারে গেল ইন্টার (Inter)। নেরাজুরিদের হয়ে গোল করলেন নিকোলো বারেলা, লাতারো মার্তিনেজ (Lautaro Martinez) এবং হোয়াকিন কোরেয়া। বেনফিকা এ সমতা ফেরালেও তাতে লাভ কিছু হয়নি।
ইতালিয়ান ফুটবলে যেন রেনেসাঁ, নবজাগরণ ঘটেছে। বহু যুগ পর উঠল সেমিফাইনালে আজুরিদের দুটি ক্লাব। বছরের পর বছর জুভেন্তাসের প্রভুত্বের পর ফের জেগে উঠেছে এসি মিলান, ইন্টার মিলান, নাপোলির মতো ক্লাবগুলো। এককালে তারাই ছিল ইতালীয় ফুটবলের মুখ। এসি মিলান তো এক সময় গোটা ইউরোপের সেরা দল ছিল। রিয়াল মাদ্রিদের পর সবথেকে বেশি সাতবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে তারাই।