গোয়া: এগিয়ে গিয়ে এদিনও হল না| কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে লড়াইটা হল হাড্ডহাড্ডি| ম্যাচে ছিল উত্তেজনা| কিন্তু জয়ের স্বপ্নটা অধরাই রয়ে গেল লাল-হলুদ ব্রিগেডের| কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র| আবারও সেই ১ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল ইস্টবেঙ্গলকে| ৬ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে ১১ নম্বরেই রইল ম্যানুয়েল দিয়াজের দল|
কেরালাকে হারাতে পারলে পয়েন্ট টেবিলে অনেকটাই ওপরে উঠে আসতে পারত ইস্টবেঙ্গল| এদিন সেভাবে ছকও কষেছিলেন লাল-হলুদ কোচ| গোলে শুভমকে সরিয়ে এদিন তিনি আস্থা রেখেছিলেন শঙ্করের ওপর| দিনের শেষে শঙ্করও হয়ত তাঁকে হতাশ করেনি| যে রক্ষণ নিয়ে এতদিন কথা হচ্ছিল, কেরালার বিরুদ্ধে অবশেষে তাদের একটা ভাল পারফরম্যান্স দেখা গেল| এদিনও লাল-হলুদ রক্ষণকে প্রায় একাই বাঁচালেন হীরা মন্ডল|
কিন্তু বেশ কিছু ভুলে জয়টা পেল না ইস্টবেঙ্গল| এদিন শুরু থেকেই ম্যাচে ছিল টানটান উত্তেজনা| যার কেন্দ্রে অবশ্যই রেফারি| ম্যাচ চলাকালীনই বারবার রেফরিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন ইস্টবেহ্গল ফুটবলাররা| অবশ্য তার কারণও রয়েছে| ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই রেফারির ভুলে পিছিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল| হ্যান্ডবলের সিদ্ধান্ত দিয়ে ডেড বল ঘোষণার পর, সেই বল জালে জড়াতেই গোলের সিদ্ধান্ত নেন রেফারি| সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানান লাল-হলুদ ফুটবলাররা| রেফারিকে ঘিরে ধরেন তারা| সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয় রেফারি|
The deadlock was broken in the 37th minute courtesy of Mrcela before @KeralaBlasters got the equaliser!
Watch the #SCEBKBFC game live on @DisneyPlusHS – https://t.co/M6YCm7wSHm and @OfficialJioTV
Live Updates: https://t.co/II6hE07KIM#HeroISL #LetsFootball #ISLMoments https://t.co/oQOm93HIGd pic.twitter.com/mL5RHA7Aal
— Indian Super League (@IndSuperLeague) December 12, 2021
সেই থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে চিল ইস্টবেঙ্গল| রাজু গায়কোয়াড়ের থ্রো থেকে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে এগিয়ে দেন মার্কলে| কিন্তু কেরালাও সহজে ছেড়ে দেওয়ার দল ছিল না| চাপ বাড়াতে থাকে| আর সেখানেই ভুল জাজমেন্ট দিতে গিয়ে মাথায় লাগিয়ে আত্মঘাতী গোল করে ফেলেন সেই মার্কলেই| প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে|
That equaliser from @KeralaBlasters ?#SCEBKBFC #HeroISL #LetsFootball pic.twitter.com/DEVjqsWc57
— Indian Super League (@IndSuperLeague) December 12, 2021
বিরতির পর প্রথম ৩৫ মিনিট ইস্টবেঙ্গল আক্রমণ নয়, রক্ষণ সামলাতেই বেশি ব্যস্ত ছিল| আর সেই সুযোগে একের পর এক আক্রমণ করে চাপও বাড়াতে থাকে কেরালা ব্লাস্টার্স তারকারা| তবে হীরা মন্ডলের দুরন্ত পারফরম্যান্সে বারবার বেঁচে যায় ইস্টবেঙ্গল| সঙ্গে পার্চেও যোগ্য সঙ্গত দিয়েছে|
শেষ দশ মিনিট গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল| সুযোগও পান দেরভেসেভিচ, পেরোসেভিচরা| কিন্তু বারবারই অল্পের জন্য ব্যর্থ হন তারা| অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে খেলা হল ৯৯ মিনিট| কিন্তু একবারের বেশি গোলের মুখ খুলতে পারেননি ইস্টবেঙ্গল তারকারা| শেষ চারের আশা ক্রমশই কমতে থাকছে তাদের|