ওয়েব ডেস্ক: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে (ICC World Test Championship) যাতে সব দেশের দলই খেলার সুযোগ পায়, সে জন্য এই টুর্নামেন্টের চক্রের একটি দ্বিস্তরীয় মডেলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আইসিসি-কে (ICC)। তবে এই প্রস্তাবিত মডেল নাকচ করে ২০২৭-এর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্রে ১২টি দেশকে খেলার সুযোগ দেওয়ার পক্ষে মত দিল আইসিসি। সেই সঙ্গে একদিনের ফরম্যাটে ফের একবার সুপার লিগ চালুর বিষয়ে আগ্রহ দেখালেন কাউন্সিলের অধিকারিকরা।
বর্তমানে কেবল ৯টি দেশ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তালিকায় রয়েছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাংলাদেশ। আইসিসি-র বাকি তিন পূর্ণ সদস্য দেশ – জিম্বাবোয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকে এখনও এই তালিকার বাইরেই রাখা হয়েছে। তাই প্রাক্তন নিউজিল্যান্ড ব্যাটার রজার টুওস-এর নেতৃত্বাধীন কমিটি দ্বিস্তরীয় একটি মডেল প্রস্তাব করেছিল।
আরও পড়ুন: ৬ বছর পর ইডেনে টেস্ট ম্যাচ! কেমন হবে পিচ? জানুন বড় আপডেট
কেন WTC-র নতুন মডেল লাগু হচ্ছে না?
তবে দুবাইয়ে আয়োজিত আইসিসির সাম্প্রতিক বৈঠকে এই প্রস্তাব যথেষ্ট সমর্থন পায়নি। প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ। তাই আইসিসির বেশিরভাগ সদস্যই মনে করছেন, এই দ্বিস্তরীয় মডেল এখনই কার্যকর করা ঠিক হবে না। উল্টে ২০২৭ থেকে সব আইসিসি-র ১২ পূর্ণ সদস্য দেশকে চক্রে অন্তর্ভুক্ত করে আরও ভারসাম্যপূর্ণ ফরম্যাট তৈরির পক্ষে মত দিয়েছে কাউন্সিল।
পুনরায় ODI সুপার লিগ চালু করবে ICC!
একইসঙ্গে আইসিসি ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া ওডিআই সুপার লিগ (ODI Super League) পুনরায় চালুর বিষয়েও আগ্রহ দেখিয়েছে বলে খবর। ২০২০ সালে চালু হয় এই লিগ। ১৩টি দলের এই লিগ চালুর উদ্দেশ্য ছিল ৫০ ওভারের ফরম্যাটে প্রতিযোগিতামূলক মান ও প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করা। তবে প্রত্যাশিত সাফল্য না পাওয়ায় সেটি বন্ধ হয়ে যায়। আইসিসির সদস্যদের একাংশের মতে, সঠিক কাঠামো তৈরি করা গেলে ৫০ ওভারের ক্রিকেট আবারও জনপ্রিয়তা ফিরে পেতে পারে।
দেখুন আরও খবর:







