ঝাড়গ্রাম: অআদিবাসীদের স্বীকৃতি দেওয়ার চক্রান্তের বিরুদ্ধে সরব আদিবাসীদের বিভিন্ন সংগঠন। ২৫ টি আদিবাসী সংগঠনের মিলিত মঞ্চ ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশান এর তরফ থেকে বৃহস্পতিবার বাংলা বনধের ডাক। যার জেরে সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। তবে রেল পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
আদিবাসীদের বিভিন্ন সংগঠনের মিলিত ফোরামের ডাকা বাংলা বনধে সকাল থেকে তার প্রভাব পড়ল বাঁকুড়া জেলায়। এদিন সকাল থেকে আদিবাসী ফোরামের তরফ থেকে বাংলা বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামে আদিবাসীরা। যার জেরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। বাঁকুড়া জেলার হেভির মোড়, পুয়াবাগান মোড়, বাংলা জয়েন্ট মোড়-সহ বিভিন্ন জায়গায় যান চলাচল বন্ধ। তবে এসবকের কোনো প্রভাব পড়েনি রেল পরিবাবের উপর। পাশাপাশি চার দেওয়া হয়েছে দুধের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স-সহ বিভিন্ন জরুরি পরিষেবাকেও।
আরও পড়ুন: Paschimbanga Gramin Bank | হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাংক
এদিকে পশ্চিমমেদিনীপুরের বিভিন্ন পয়েন্টে যেমন NH এর উপর দেখা গেল আদিবাসী সংগঠনের ডাকা ১২ ঘণ্টা বাংলা বন্ধের প্রভাব। এই জেলার কেরানীচটি মোড়, কেশপুর মোড়, শালবনির তমাল ব্রিজ, পিড়াকাটা-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পথ অবরোধ শুরু করেন আদিবাসীরা। এর জেরে সকাল ৬ টা থেকে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক এ জাতীয় সড়ক সহ জেলার প্রায় সমস্ত রাজ্য সড়কে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে গেছে। তবে, রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেও দোকান বাজার সব অন্য দিনের মতন স্বাভাবিক ভাবেই খোলা।
আদিবাসী সংগঠনের ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের প্রভাব পড়ল কাটোয়ায়। শহরে প্রবেশ মুখেই জাজিগ্রামে আদিবাসী সংগঠন রাস্তা অবরোধ করে। সকাল ছ’টা থেকে সন্ধ্যে ছ’টা পর্যন্ত চলবে। রাস্তা বন্ধ থাকার দরুন বিভিন্ন যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর কারণে চরম সমস্যায় পড়েছে যাত্রীরা।
এদিকে, আবার পুরুলিয়া জুড়ে ব্যাপার প্রভাব পড়েছে এই বন্ধের। যদিও এই বনধে রেল যোগাযোগকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে রাস্তায় সরকারি বাস না দেখা গেলেও সরকারি বাসের দেখা মিলেছে।
উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে কুড়মি সম্প্রদায় এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। ভোট ব্যাঙ্কের ভয় দেখিয়ে রাজ্য সরকারের উপর সি আর আই রিপোর্ট পরিবর্তন করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। বারবার কেন্দ্রীয় সরকার সি আর আই রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়ে দিলেও চাপ দিয়ে সেই রিপোর্ট পরিবর্তন করানোর চেষ্টা হচ্ছে। অভিযোগ কুড়মি সম্প্রদায়কে খুশী করার জন্য কুড়মি ভোট ধরে রাখার জন্য অসাংবিধানিক ভাবে এখানকার রাজ্য সরকার সিআরআই রিপোর্টের কাঁচি চালাতেও প্রস্তুত। রাজ্য সরকারের এহেন আদিবাসী বিরোধী ভূমিকার প্রতিবাদে আজকের এই ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধ।