কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সুন্দরবনের কেদো দ্বীপের কাছে ডুবন্ত ট্রলার থেকে ১৩ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে পাঁচজন। উদ্ধার হওয়া ১৩ জন মৎস্যজীবী নাম শ্যামল দাস, শিপন দাস, দিলীপ দাস, লক্সমীপদ দাস, দীপেশ দাস, সুরজিৎ দাস, বিশ্বরঞ্জন গিরি, প্রলয় দাস, রাজকুমার দাস, দীপঙ্কর দাস, মিলন দাস, বাদল দাস ও বিপ্লব দাস। তবে এখনও নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে উপকূল রক্ষাবাহিনী। পাশাপাশি উদ্ধারকারী ট্রলার এফবি শঙ্খ ধ্বনির মৎস্যজীবীদেরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ডোবা ট্রলারের খোঁজে গিয়ে ডুবল আরও একটি ট্রলার, ফের নিখোঁজ ১৮ মৎস্যজীবী বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া ট্রলার খুঁজতে গিয়ে ডুবে যায় আরও একটি মাছ ধরার ট্রলার। এই ট্রলারেও ১৮ জন ছিলেন। শুক্রবার কাকদ্বীপ থেকে রওনা দেয় এফবি শঙ্খধ্বনি নামে ট্রলারটি। সেটি ডুবে যাওয়া ট্রলার সত্যনারায়ণের খোঁজে যাচ্ছিল। প্রবল ঝড়ের মধ্যে পড়ে শঙ্খধ্বনি ফিরে আসার চেষ্টা করে। প্রবল ঢেউ এবং উন্মত্ত হাওয়ার জেরে শঙ্খধ্বনি ডুবে যায়। উপকূলরক্ষী বাহিনী তল্লাশি শুরু করেছে। কিন্তু সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় উদ্ধারের কাজ ব্যাহত হয়। এই ট্রলারের মালিক রণজিত হালদারের বাড়ি কাকদ্বীপে।
আরও পড়ুন: ডোবা ট্রলারের খোঁজে গিয়ে ডুবল আরও একটি ট্রলার, ফের নিখোঁজ ১৮ মৎস্যজীবী
গত বুধবার এফবি সত্যনারায়ণ নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার বঙ্গোপসাগরে যায়। মাছ ধরে ফিরে আসার সময় সেটি ঝড়ের মুখে পড়ে উল্টে যায়। ওই ট্রলারে ১৮ জন মতস্যজীবী ছিলেন। মৎস্যজীবী ইউনিয়নের মাধ্যমে খবর যায় উপকূলরক্ষী বাহিনীর কাছে। তারা তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু খারাপ আবওয়ার জন্য তল্লাশি বাধাপ্রাপ্ত হয়। ওই ১৮ জনের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। তার উপরে ফের বিপর্যয় ঘটল শঙ্খধ্বনি ডুবে যাওয়ায়।