উত্তর দিনাজপুর: কিশোরীকে (Minor Girl) ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। দোষীদের শাস্তির দাবিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি উওর দিনাজপুরের (North Dinajpur) কালিয়াগঞ্জে (Kaliyaganj)। পুলিশের (Police) সঙ্গে বচসা-হাতাহাতি উত্তেজিত জনতার। সব মিলিয়ে অগ্নিগর্ভ এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কালিয়াগঞ্জ থানার সাহেবঘাটা গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরীর সঙ্গে এলাকারই এক যুবকের প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরনোর পর কিশোরীর কোনও খোঁজ মেলে না। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিলেও কোনও লাভ হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে বাড়ির লোকজন জানতে পারেন, ওই কিশোরী একটি ছেলের সঙ্গে রয়েছে। অবশেষে শুক্রবার সকালে বাড়ির অদূরে একটি পুকুরে ওই কিশোরীর মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন:Sexual Assault | ৫ বছর ধরে তিন মেয়েকে শারীরিক নিগ্রহ, গ্রেফতার বাবা
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তাদের ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে উত্তেজিত জনতা। দেহ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশকে বাধা দেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, আগে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানোর উদ্যোগ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে জনতা। টায়ার জ্বালিয়ে সাহেবঘাটা রোড অবরোধ করেন স্থানীয়রা। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে জনতার। পুলিশ পাল্টা ইট-পাটকেল ছোড়ে বলে অভিযোগ। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ। বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসও চালানো হয়। দুপক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হন। ঘটনাস্থলে পরে বিশাল পুলিশবাহিনী আসে। বেলা দুটো পর্যন্ত খবর, তখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
কালিয়াগঞ্জের ওই ঘটনা নিয়ে টুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটে তিনি লেখেন, বাংলায় ফের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা। দশম শ্রেণির পড়ুয়া ওই নাবালিকা রাজবংশী সম্প্রদায়ের। আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানোর পর ফের রাজবংশী সম্প্রদায়ের নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। রাজ্যের আইনলশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব খারাপ। শুভেন্দু টুইটে আরও লেখেন, রাজ্যের পুলিশ এখন ভাইপোর নবজোয়ার কর্মসূচির জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত। তার মূল্য চোকাতে হচ্ছে সাআধারন মানুষকে, বিশেষ করে রাজ্যের মহিলাদের। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জন্য অপরাধীদের সাহস ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
শুভেন্দুর এই টুইটের পরই পাল্টা টুইট করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুভেন্দুর উদ্দেশে তিনি লেখেন, উত্তরপ্রদেশের ঘটনা কি আপনার নজরে পরেছে। ধর্ষণে অভিযুক্তরা অসহায় নাবালিকাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে সেখানে। তা নিয়ে আপনার বিবৃতি কোথায়? টুইটে কুণালের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টই বলছে পশ্চিমবাংলা এবং বিশেষ করে কলকাতা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। এধরনের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। তদন্ত অবশ্যই প্রয়োজন। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিচ্ছে।