জলপাইগুড়ি: চা বাগানের (Tea Garden)শতাব্দী প্রাচীন হেরিটেজ বড়দিঘি চা বাগান। পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। সেই বড়দিঘি চা বাগানই এবার খুলে দেওয়া হল পর্যটকদের জন্য। এখানে পর্যটকরা এলে শতাব্দী প্রাচীন বাংলোতে থাকার সুবিধা যেমন পাবেন, তেমনি চা বাগানের (Tea Garden) চা পাতা তোলা থেকে শুরু করে চা পাতা কীভাবে তৈরি হয় তা হাতে কলমে দেখানো হবে।
এই বাংলোটি মূলত তৈরি ইংরেজ আমলে। ব্রিটিশর ভিজিটিং অ্যাডভেইসার চা বাগানে পরিদর্শনে আসতেন। তারাই এই বাংলোতে থাকতেন। শুধু তাই নয় ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং এই বাংলোতে থাকতেন বলে জানা গেছে চা বাগান কর্তৃপক্ষ সুত্রে।
আর পড়ুন: বোমাবাজি, বাড়ি-ঘর ভাংচুর, তৃণমূলের কর্মীদের মারধরের ঘটনায় উত্তপ্ত খেজুরি
হেরিটেজ এই বাংলোটিকে রায়ডাক সিন্ডিকেট লিমিটেড পর্যটকদের থাকার পাশাপাশি চা বাগানে কীভাবে চা পাতা তৈরি হয় তা ঘুরে দেখানোর ব্যবস্থা করেছে। এবার জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের প্যাকেট ট্যুরে মহালয়া থেকেই স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বড়দিঘি চা বাগানে ভ্রমন করাবে। সেই জায়গায় দাড়িয়ে শতাব্দী প্রাচীন বড়দিঘি চা বাগানের হেরিটেজ বাংলোটিকে টি ট্যুরিজমের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
বাগান কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ডেইসি রাজ সিং,ললিতা শর্মা জানান, পর্যটকরা সব জায়গায় ঘুরে বেড়ালেও চা বাগানের হেরিটেজ বাংলোতে থাকার মজা এখানে পাবেন।সবাই বাইরে যেতে চান। তাঁদের জন্য এই জায়গা আদর্শ। পাশাপাশি চা বাগানে ঘুরতে পারবেন। চা পাতা বানানো দেখতে পারবেন। প্রচুর পর্যটক আসছে আমাদের এখানে। এবার পুজোয় এই বাংলোতে থাকার জন্য চাহিদা অনেক। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, চা বাগান,জঙ্গল, নদী সবটাই পাবে পর্যটকরা।বাচ্চাদের খেলার জায়গা রয়েছে।