বাঁকুড়া: স্বামী স্ত্রী লড়াই এখন বিষ্ণুপুর লোকসভা (Bishnupur LokSabha) কেন্দ্রের হট কেক। বিজেপির সৌমিত্র খাঁর (Bishnupur BJP Candidate Soumitra Khan) বিপরীতে তৃণমূলের সুজাতা মণ্ডল খাঁর লড়াই এখন লাইম লাইটে। সোমবার বিকালে সুজাতা যখন জয়পুরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে মিছিল করে প্রচার সারছেন, তখন জয়পুর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ময়নাপুর গ্রামে দলের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র। সোমবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের ময়নাপুর গ্রামে প্রচারে যান সৌমিত্র। সভায় তিনি বলেন, আপনারা কেউ ভয় পাবেন না। তৃণমূলের কেউ যদি কিছু করতে যায় তা হলে আমি চোখ উপড়ে নেব। সেই ক্ষমতা আমি রাখি। তিনি প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী তথা সৌমিত্রের প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল (Sujata Mondal Khan)।
ভোটের প্রচারে (Election Campaign) নেমে বিতর্কে জড়ালেন সৌমিত্র খাঁ। সোমবার বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের ময়নাপুরে নির্বাচনী প্রচারে যান সৌমিত্র খান ৷ সেখানে বিজেপি কর্মীদের নিয়ে সভা করছিলেন তিনি ৷ সভা থেকে সৌমিত্র সন্দেশখালি প্রসঙ্গ এবং সেখানকার মানুষের পালটা রুখে দাঁড়ানোর কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে ৷ তৃণমূলের অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে পথে নামতে বলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকদের৷ সৌমিত্রকে বলতে শোনা যায়, “ভয় খাবেন না কেউ ৷ আপনাদের জন্য আমি আমার জীবন লড়িয়ে দেব ৷ তৃণমূল কংগ্রেস যদি কিছু করতে যায় চোখ উপড়ে নেব, সে ক্ষমতা আমি রাখি’, বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকে প্রচারে গিয়ে হুঁশিয়ারি বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ-র। অত্যাচারী মনোভাবের প্রকাশ, পাল্টা মন্তব্য সৌমিত্রর প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলের। এই প্রসঙ্গে পালটা সৌমিত্রকে নিশানা করেছেন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁ ৷ তিনি বলেন, চোখ উপড়ে নেওয়া, গলা টিপে ধরা, হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি ছাড়া উনি কী পারেন ? আমি দীর্ঘদিন এইসব অত্যাচার সহ্য করেছি ৷ সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলাম স্বামী স্ত্রীর এই ভোট যুদ্ধের লড়াই বেশ সরগরম হয়ে উঠছে বিষ্ণুপুর। রাজনীতির এই মঞ্চে কেউ এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তেও নারাজ। একের অপর কে আক্রমনের বাক যুদ্ধে বেশ জমে উঠেছে মল্লগড়ের মাটি। দুজনের মধ্যে চাপে কে? লড়াই কি কঠিন? আক্রমণ প্রতি আক্রমণ এখন দুজনের মুখে।
আরও পড়ুন: তমলুকে অভিজিত, উষ্ণ অভ্যর্থনা বিজেপির
বিজেপি সূত্রের খবর, সৌমিত্র খাঁ কে যাতে প্রার্থী না করা হয় এই চর্চায় শুরু হয়েছিল বিজেপির অন্দরে। সৌমিত্রের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টার ক্ষোভ প্রকাশ্যেও আসে। কিন্তু সৌমিত্রের উপর আস্থা রেখে তাঁকেই বিষ্ণুপুর লোকসভার প্রার্থী করেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের বিক্ষুব্ধরা তারা কি সৌমিত্রের পক্ষে ভোট প্রক্রিয়ায় সামিল হবেন এই প্রশ্ন এখন উঠছে। অন্যদিকে সুজাতাকে তৃণমূলের ভোট ময়দানে নামান দলের কর্মীরা কতটা মেনে নেবেন এই প্রশ্নও উঠছে। দলীয় কোন্দলে ২০১৬ সালের বিধানসভার ফল ভুগেছে তৃণমূল। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে এই সুজাতা তৃণমূলকে একাই শেষ করেছিল। ২০২৪ লোকসভা তাহলে কি হবে? সুজাতার হাত ধরে কি হারানো জমি পুনরুদ্ধার হবে না ফের বিজেপির ঝুলিতে থাকবে এখন সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
অন্য খবর দেখুন