কলকাতা: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে টালমাটাল বঙ্গ বিজেপি (BJP Bengal)। বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ভরাডুবির পর দল ছেড়েছেন একাধিক বিধায়ক-নেতা। অনেকে দলে থাকলেও নিয়ম করে শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার কড়া পদক্ষেপ করল বঙ্গ বিজেপি। দল বিরোধী কাজের জন্য জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumdar) ও রীতেশ তিওয়ারিকে (Ritesh Tiwari) শো কজ করল রাজ্য বিজেপি। বিজেপির কার্যালয় সম্পাদক প্রণয় রায়ের সই করা চিঠিটিই জয়প্রকাশ ও রীতেশকে পাঠানো হয়েছে।
জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারি দু’জনই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সহ-সভাপতি। শেষ রদবদলে রাজ্য কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয় তাঁদের। তার পরেই রীতিমতো বিদ্রোহ ঘোষণা করেন তাঁরা। দলের বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্যও করেন। এর জেরেই তাঁদের শো-কজ করা হয়েছে বলে খবর। জয়প্রকাশ মজুমদার শো-কজের চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। শো-কজের চিঠি পাওয়া নিয়ে রীতেশ বলেছেন, তৎকাল নেতাদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট চাই না। ওনারাই রীতি ভেঙেছেন।
শো-কজের চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আপনার দ্বারা গত কিছুদিন ধরে পার্টি বিরোধী বিবৃতি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে, যা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল। শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, মাননীয় রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ ডঃ সুকান্ত মজুমদার মহাশয়ের নির্দেশে আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হচ্ছে। কেন দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা লিখিত ভাবে জানানোর জন্য বলা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: Bengal BJP: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে ‘গোপন’ বৈঠকে সায়ন্তন, রীতেশ, জয়প্রকাশ
বিক্ষুব্ধ শিবিরের অন্যতম প্রধান মুখ এই দু’জনকে শোকজের মুখে পড়তে হওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ‘বেসুরো’ সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, এটা কোন ফ্যাক্টরই নয়। এটি দলের আভ্যন্তরীণ বিষয়। প্রয়োজনে এরকম বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে বারংবার বৈঠক করব। সারা পশ্চিমবঙ্গের বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা বৈঠক করবে। সবাইকে কি বাদ দিয়ে দেবে? সেটা সম্ভব? আমি সবার সঙ্গেই বৈঠক করব।
