বাঁকুড়া: হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে মাইক নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিধায়কের এই কাণ্ডে চরম ক্ষুব্ধ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাঁদের আত্মীয় থেকে হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সিং স্টাফ ও কর্মীরা। প্রশ্ন উঠছেস বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজও হাসপাতাল চত্বরে বিধায়ক কীভাবে মাইক নিয়ে বিক্ষোভ করলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মাইক বাজানোতে অনুমতি ছিল কি না আমাদের জানা নেই। তবে রোগীদের অসুবিধা হয়েছে সেই অভিযোগ পেয়েছি। বিধায়ক অবশ্য এই অসুবিধার কথা মানতে নারাজ। কম সাউন্ড ছিল বলে সাফাই দিয়ে দায় এড়ালেন বিজেপি বিধায়ক।
রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারের অফিসের সামনে মাইক নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। দুর্নীতি, হাসপাতালে উপযুক্ত পরিষেবা, রোগী হয়রানি বন্ধ এমন নানান দাবি নিয়ে সুপারকে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি নেন ওই বিজেপি বিধায়ক। সেখানেই প্রশ্নের মুখে পড়লেন নীলাদ্রি। অভিযোগ, মাইক নিয়ে শ্লোগান দিয়ে লোকজন নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখিয়ে তাঁর এই আচরণে রীতিমতো বিরক্ত প্রকাশ করেন হাসপাতালের রোগীর আত্মীয় থেকে হাসপাতাল কর্মীরা।
আরও পড়ুন: Amit Shah in Kolkata | আজ শহরে আসছেন অমিত শাহ, কাল অংশ নেবেন রবীন্দ্র জয়ন্তীতে
একদিকে প্রসূতি বিভাগ অন্যদিকে ব্লাড ব্যাঙ্ক আর একদিকে সার্জিক্যাল ওয়ার্ড। বিক্ষোভের মাইকের আওয়াজ পৌঁছে যা সকলের কানে। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, একে রোগের জ্বালা, তার উপর মাইকের জোর শব্দ। খুব সমস্যায় পড়তে হয়। হাসপাতাল চত্বরে মাইক বাজানো ঠিক হয়নি বিধায়কের। মাইকের আওয়াজে চিকিৎসা পরিষেবাতেও সমস্যা তৈরি হয় বলেও দাবি করেন হাসপাতালের কর্মীরা।
এই বিষয়ে সুপার বলেন, মাইক বাজানোর কোনও অনুমতি ছিল কি না আমাদের জানা নেই। তবে মাইক বাজানোর জন্য রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের অসুবিধা হয়েছে সে অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আমি উচ্চ স্বাস্থ্য দফতরে জানাব। সব অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর জানান, উচ্চস্বরে মাইক বাজানো হয়নি। নির্দিষ্ট সীমারেখার মধ্যে মাইক বাজানো হয়েছে। কারও কোনও অসুবিধা হয়নি বলেও দায় এড়িয়ে যান বিধায়ক। এ বিষয়ে তৃণমূল কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি বিধায়ককে। তাঁদের বক্তব্য, ওনার একটা নূন্যতম সাধারন জ্ঞান নেই। যেখানে মুমুর্ষ রোগীরা ভর্তি সেখানে কীভাবে মাইক বাজিয়ে ভাষন দিচ্ছেন।