শেরিফকে ডেকে এক বাস মালিককে গ্রেফতারের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। ক্ষমা প্রার্থনা করার পর ওই বাস মালিককে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। পাঁচদিনের মধ্যে সেই টাকা দিতে না পারলে জেলে যেতে হবে বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি। ধর্মতলা বাস টার্মিনাসে নতুন করে কোনও বাসের পারমিট দেওয়া হয় না। যাঁদের পুরনো পারমিট আছে, তারাই এখানে বাস চালাতে পারে।
আল্পনা হালদার নামে বিশেষভাবে অক্ষম এক মহিলা পুরনো পারমিটের দুটি বাস চালান। তাঁর আইনজীবী দুর্গাপ্রসাদ দত্তের অভিযোগ, ধর্মতলার পারমিট না থাকা সত্ত্বেও শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির দুটি বাস ধর্মতলা রুটে চলে। পরিবহণ দফতরের পারমিট অনুযায়ী এই দুটি বাস করুণাময়ী এবং পুরুলিয়ার ঝালদার মধ্যে চলাচল করতে পারে। কিন্তু তা অমান্য করে বাসদুটি ধর্মতলায় চলছে।
এর প্রতিবাদে আদালতে যান আল্পনা। তাঁরও দুটি বাস ধর্মতলা ও পুরুলিয়ার মধ্যে যাতায়াত করে। ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ধর্মতলার রুটে বাস চালানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু শিবনাথ সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধর্মতলায় বাস চালান। পরিবহণ দফতর বারবার তাঁকে জরিমানা করে। তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় আল্পনা আদালত অবমাননার মামলা করেন। বিচারপতি শিবনাথের বাসের পারমিট বাতিলের নির্দেশ দেন। তাঁকে সশরীর হাজির হতে বলা হয়।
শুক্রবার আদালতে হাজির হয়ে শিবনাথ জানান, তিনি বাসদুটি চালানোর জন্য দুই ব্যক্তিকে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দিয়েছেন। তাতেই আদালতের কোপে পড়েন তিনি। বিচারপতি তাঁকে গ্রেফতারের জন্য শেরিফকে ডেকে পাঠান। এর পরই শিবনাথ এজলাসে ভেঙে পড়েন। তাঁকে জরিমানার নির্দেশ দিয়ে আদালত বলে, অর্থ জমা না দিলে পরবর্তী শুনানির দিন তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হবে।