বোলপুর: গরু পাচার কাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের নজরে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েন। রবিবার দুপুর ১টার নাগাদ বিদ্যুৎ গায়েনের কালিকাপুরের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআইয়ের এক প্রতিনিধি দল। যদিও বিদ্যুৎ বাড়িতে আছেন কি না, এখনও পর্যন্ত তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয় সূত্রে দাবি, অনুব্রত মণ্ডলে ‘বাবা’ বলে ডাকতেন বিদ্যুৎ।
বিদ্যুৎবরণ গায়েন একসময় বোলপুর পুরসভায় গাড়ির খালাসির কাজ করতেন। ২০১১-র পর থেকেই বীরভূমে দাপট বাড়তে থাকে অনুব্রত মণ্ডলের। খালাসির অস্থায়ী চাকরি থেকে তাঁকে স্থায়ী কর্মীতে পরিণত করা হয়। পরে ব্যবসায়ও নামেন তিনি। রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের দুই সংস্থার ডিরেক্টরও করা হয় বিদ্যুৎকে।
অনুব্রতই তাঁকে একাধিক সংস্থার ডিরেক্টর বানিয়েছেন বলে অনুমান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। সেই সংস্থাগুলিতে ডিরেক্টর হিসেবে বিদ্যুৎবাবুর কী ভূমিকা ছিল? কবে সংস্থাগুলি তৈরি হয়? সেগুলির কাজ কী ছিল? তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। ঠিক সেই কারণেই গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআইয়ের নজরে অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েন।