ব্যারাকপুর: খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের (Election) প্রক্রিয়া শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। জুলাইয়ের মাঝামাঝি কোচবিহার, কলকাতা দক্ষিণ, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে চিঠি পাঠান রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার আরিজ আফতাব। চিঠিতে উপনির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট পরীক্ষার কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। খড়দহ সহ গোটা রাজ্যেই বাকি রয়েছে পুর নির্বাচন। সেক্ষেত্রে কমিশনের কাছে উপনির্বাচনই হতে চলেছে পুর নির্বাচনের (Municipal Election) মহড়া পরীক্ষা।
আরও পড়ুন: দ্রুত উপনির্বাচনের দাবিতে কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল
নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশ মতো মঙ্গলবার খড়দহে উপনির্বাচনের জন্য ইভিএম ভিভিপ্যাটের ফার্স্ট লেভেল চেকিং শুরু হচ্ছে। সাধারণত ইভিএম-ভিভিপ্যাটের ‘ফার্স্ট লেভেল চেকিং’ থেকেই কোনও জায়গার নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে বলে ওয়াকিবহালের মত। ভোট প্রস্তুতির সর্বপ্রথম ধাপ এটি। ফলে ইভিএম ভিভিপ্যাটের ফার্স্ট লেভেল চেকিং শুরু করতে বলে খড়দহ সহ রাজ্যের ৭ কেন্দ্রে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল কমিশন একথা বলাই চলে।
৩ জুলাই থেকে ৬ জুলাই ব্যারাকপু্রে প্রশাসনিক ভবনে খড়দহ বিধানসভার ফার্স্ট লেভেল চেকিং হওয়ার কথা। প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ইতিমধ্যেই একথা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রতিটি দলের দু’জন প্রতিনিধি এত অংশ নিতে পারবেন। একজন পুরো প্রক্রিয়া দেখভাল করবেন। আরেকজন মক পোলে অংশ নেবেন। পুরো প্রক্রিয়াটি কোভিড বিধি মেনে সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: মানুষের মধ্যে দ্রুত সংক্রমণের জন্য করোনার চরিত্র বদলেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা, দাবি রিপোর্টে
রাজ্যে এখন খালি আসন ৭টি৷ ওই বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ছ’মাসের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা৷ এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছে ২ মে৷ নিয়ম অনুযায়ী, ওই ৭ কেন্দ্রে নভেম্বরের মধ্যে ভোটপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে৷ এর মধ্যে রয়েছে ভবানীপুর কেন্দ্রটি৷ যে আসন থেকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়বেন বলে সূত্রের খবর৷ এছাড়া খড়দহ, সামসেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর, দিনহাটা, শান্তিপুর ও গোসাবা আসন খালি রয়েছে৷
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এবার বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে কোভিড বিধির ওপর। জেলাশাসকদের বলা হয়েছে, দৈনন্দিন কাজের ফাঁকেই গুরুত্ব দিয়ে উপনির্বাচনের প্রস্তুতির পর্যালোচনা করে তা সম্পন্ন করতে হবে। তবে, কোনওভাবেই কোভিড বিধির সঙ্গে আপস করা যাবে না। যে সমস্ত আধিকারিক ফার্স্ট লেভেল চেকিংয়ের কাজে যুক্ত থাকবেন বা যে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন, তাঁদের সবাইকে করোনা বিধি মানতে হবে।