কলকাতা: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়েও কি এবার রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত হতে চলেছে? কমিশনার হিসেবে প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার নাম প্রস্তাব করেছে রাজ্য সরকার। সেই নাম রাজভবনে গেলেও এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন আসেনি। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস রাজীব সিনহা সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জানতে চেয়েছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই প্রশাসনিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে রাজভবন এবং নবান্নের সংঘাত নিয়ে। যদিও মঙ্গলবার পর্যন্ত নবান্নের তরফে সরকারি ভাবে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। রাজভবনে গত ১৮ মে রাজীব সিনহার নাম সংক্রান্ত প্রস্তাব গিয়েছে।
আগামী ২৯ মে রাজ্যের বর্তমান নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তার আগেই নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করতে হবে। নবান্ন রাজ্যপালের মতি গতির ব্যাপারে নজর রাখছে। নবান্নের দাবি রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের ক্ষেত্রে রাজ্যেপাল কোনও নাম দিতে পারেন না। তিনি বড় জোর নাম নিয়ে আপত্তি তুলতে পারেন। পাঁচ দিন আগে রাজভবনে প্রস্তাব যাওয়ার পরও রাজীব সিনহার নাম অনুমোদন না আসায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্য প্রশাসন।
আরও পড়ুন: Sourav Ganguly | ত্রিপুরার ব্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের পঠন পাঠন এবং আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সাপ্তাহিক রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশিকা ঘিরে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। গত ৪ এপ্রিল রাজ্যপাল এক নির্দেশিকা জারি করে উপাচার্যদের রাজভবনে সাপ্তাহিক রিপোর্ট দিতে বলেছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজভবনে রিপোর্ট দেননি। সম্প্রতি, ওই নির্দেশিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ফের উপাচার্যদের চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। ৪ এপ্রিলের নির্দেশিকা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি রাজ্যপালকে ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহারে দাবিও জানান। রাজ্যপালের দ্বিতীয় চিঠি সম্পর্কেও ব্রাত্যর প্রতিক্রিয়া, তিনি এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। এই সংঘাতের জের কাটতে না কাটতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়েও রাজ্য রাজভবন এবং নবান্নের সম্পৰ্ক তিক্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।