কলকাতা: ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা (Coronavirus)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৯২ জন। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল প্রায় সাড়ে ১২ হাজার। একদিনে দৈনিক আক্রান্ত প্রায় ৭ শতাংশ কমেছে। বর্তমানে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৬৬ হাজার ১৭০। বর্তমানে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৮ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬৮৪-এ। মঙ্গলবার দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। কোভিড আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বাংলাতেও। এ রাজ্যেও ইতিমধ্যে মৃত্যু ঘটেছে। এই আবহেই নতুন করে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফত। নির্দেশিকায় দেওয়া হয়েছে একাধিক পরামর্শ।
নবান্ন জানিয়েছে, বর্তমানে যে স্ট্রেন ঘুরে বেড়াচ্ছে তার উপসর্গ (Symptoms) মৃদু। তা সত্ত্বেও প্রবীণ ব্যক্তি, কো-মর্বিডিটি (Co-Morbidity) আছে এমন মানুষ অর্থাৎ যাঁদের হৃদপিণ্ড, কিডনি, ফুসফুস, যকৃতের রোগ আছে, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত (ক্যানসার এবং এইচআইভি পজিটিভ রোগী), তাঁদের সমস্যা দেখা দিতে পারে। জটিলতা এড়াতে একগুচ্ছ গাইডলাইন দিল রাজ্য।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে কোভিড সংক্রমণ অল্প হলেও বাড়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। কোভিডের বর্তমান স্ট্রেনগুলি থেকে মৃদু অসুস্থতাই হয়, তবে সামান্য কিছু ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। এই অসুখকে এড়িয়ে চলার জন্য কিছু সাবধানতা তাই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোভিড নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতার নিয়মগুলি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
প্রতিরোধ
১) বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোবেন। শিশুদেরও তা অভ্যাস করান।
২) ভিড় যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে বৃদ্ধ মানুষ, শিশু, গর্ভবর্তী মহিলা এবং যাঁরা অন্য কোনও গুরুতর অসুখে ভুগছেন।
৩) তবু ভিড়ের মধ্যে বা গণ-পরিবহণে যেতে হলে সকলেই মাস্ক ব্যবহার করবেন।
৪) কাশি বা হাঁচির সময় রুমাল বা নিজের কনুই দিয়ে মুখ ঢাকা দিন। কফ বা থুতু যেখানে-সেখানে ফেলবেন না।
৫) অতি বৃদ্ধ বা যাঁরা কোনও গুরুতর অসুখে ভুগছেন, তাঁরা জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির কাছে যাবেন না।
৬) কোভিড ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ না নেওয়া হয়ে থাকলে, তা নিয়ে নিন।
অসুখ হলে
১) অসুস্থ অবস্থায় স্কুল, কলেজ বা অফিসে যাবেন না।
২) কোভিডের ঘরোয়া চিকিৎসার নিয়ম মেনে চলুন।
(স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইট দেখুন)
৩) অসুখ বাড়ছে মনে হলে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে যান।
৪) স্বাস্থ্য দপ্তরের হেল্প লাইনে (১৪৪১৬) ফোন করে সাহায্য নিতে পারেন।
৫) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বা কাফ সিরাপ খাবেন না।