বাঁকুড়া: পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠনের পরেও দলবদলের রাজনীতি অব্যাহত বাঁকুড়া (Bankura) জেলায়। এবার উলট পুরাণ। তৃণমূলে (TMC) যোগ দিয়েছিলেন একই গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat) বিজেপি (BJP) ও সিপিএম (CPM) থেকে জয়ী দুই সদস্য। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফের নিজের নিজের দলে ফিরলেন তাঁরা। দুজনেরই দাবি, ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের দহলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর খাতড়া ব্লকের দহলা গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat) শিকরাবাইদ গ্রাম সংসদ থেকে জয়ী বিজেপি সদস্য ভগবত দুলে তৃণমূলে যোগ দেন। দিনকয়েক আগেই রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির হাত ধরে ওই পঞ্চায়েতেরই ভেদুয়া বুথ থেকে সিপিএমের জয়ী সদস্য লক্ষ্মীপ্রিয়া রায়ও তৃণমূলে যোগ দেন। মন্ত্রী সে সময় বলেন, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই দুই পঞ্চায়েত সদস্য নিজের নিজের দলে ফিরে যান।
আরও পড়ুন: বিউটি পার্লারে ভাংচুর, পুলিশের চাঠিচার্জ
ঘরে ফিরেই দুজনের দাবি, ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তৃণমূলে। সিপিএম ও বিজেপি নেতৃত্বও একই দাবি করেছেন। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ মানতে চায়নি। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, দুই সদস্য যোগদানের পর সিপিএম ও বিজেপি ভয় দেখিয়ে তাঁদের ফের নিজেদের দলে টেনেছে। তবে তাঁদের সেই দলে ফেরা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। আবার তাঁরা তৃণমূলেই আসবেন।
বিজেপি নেতা দীপক কুমার দাস বলেন, এটা পশ্চিমবঙ্গের জন্য নতুন কিছু নয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই বিরোধীদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। জেতার পর দলবদলের জন্য চাপ দেওয়া হয়। এখন বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রেও সেই একই কাজ করছে তৃণমূল। আমাদের জয়ী সদস্য ভয় ভেঙে আবার ফিরে এসেছেন। সেটা সুখের কথা।
তৃণমূল নেতা শ্যামল সাঁতরা বলেন, জঙ্গলমহলের খাতড়া ব্লকের দহলা অঞ্চলে লক্ষ্মীপ্রিয়া রায় সিপিএমের এবং ভগবত দুলে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হওয়ার জন্য তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূল নেতা বলেন, ওই দুজনকে দুই দলের তরফে ভয় দেখানো হয়েছে। আবার দেখবেন, ওরা তৃণমূলেই চলে আসবেন।