ডুয়ার্স: গ্রামে নেই একজনও যুবক। গ্রামের প্রায় ৯০ শতাংশ যুবক কাজের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছেন ভিনরাজ্যে। স্কুলে পড়াশোনা করা ক্ষুদে ও প্রবীণ ছাড়া নেই গ্রামে কোনও যুবকের দেখা মিলছে না।
ডুয়ার্সের রায়মাটাং ডিপো পাহাড়ি গ্ৰামটি যুবকশূন্য। ডুয়ার্সের মধ্যে অন্যতম পর্যটন ক্ষেত্র কালচিনি ব্লকের রায়মাটাং ডিপো। কিন্তু অনেক পর্যটকদের অজানা স্থান এটি। পর্যটনের প্রসার না হওয়ায় গ্ৰামে কোনও বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থা নেই। তাই গ্রামের যুবকরা কাজের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছেন ভিনরাজ্যে।
প্রকৃতি ঢেলে সাজিয়েছে এই রায়মাটাং ডিপো গ্রামটিকে। এই গ্রামে প্রায় দেড়শো পরিবারের বাস।পাহাড়ি বাঁক পেরিয়ে প্রবেশ করতে হয় এই গ্রামে। প্রবেশপথেই রয়েছে পিকনিক স্পট। জানা ও অজানা অনেক গাছ দিয়ে ঢাকা পাহাড়ি জনপথ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার মতো। তবু পর্যটনে নাম হয়নি এই গ্রামের। কোভিডের পর থেকে আরও দুরবস্থা এই এলাকার। এছাড়া এই গ্ৰামের রাস্তা ভালো না থাকার কারণে অনেক পর্যটক এমুখো হন না।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে এই দিকটি বঞ্চিত থেকে গেল। পর্যটন নিয়ে আগে আমরা ভাবতাম, পর্যটন মেলায় যেতাম। কোভিডের পর থেকে আমরা আর এই কাজটা করে উঠতে পারিনি। ঘরের ছেলেমেয়েরা দেখল, কী হবে এখানে থেকে। কিছুই তো নেই আর। তার জন্য অন্য রাজ্যে চলে গিয়েছে অনেকে। ১০০ জন যুবকের মধ্যে ৯০ জনই নেই। যাঁরা ভিনরাজ্যে গিয়েছেন তাঁরা আর ফিরবেন না। যে গুটিকয়েক যুবক এখনও রয়েছেন তাঁরাও ভিনরাজ্যে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কালচিনির বিজেপি বিধায়ক বিশাল লামা জানান, এটা খুব দুঃখের বিষয়। এখানকার বনবস্তির বাসিন্দাদের ভিনরাজ্যে চলে যেতে হচ্ছে কাজের সন্ধানে। এখানে কাজ না থাকলে কী আর করা যাবে।
আরও অন্য খবর দেখুন