কলকাতা: গরুমারা ( Gorumara) ও জলদাপাড়া ( Jaldapara ) জাতীয় উদ্যানে শুরু হয়েছে গন্ডারশুমারি। একশৃঙ্গ গন্ডারের সংখ্যা বাড়ছে কিনা, তা জানতেই ড্রোন উড়িয়ে গণনার কাজ চালাচ্ছেন বনকর্মী এবং পরিবেশ কর্মীরা। ৫ এবং ৬ মার্চ এই দুই দিন জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। বনকর্তাদের আশা, এবার গন্ডারের ( Raino) সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। ২০২২ সালে গরুমারায় গন্ডারের সংখ্যা ছিল ৫৮, এবার তা ৬০-এর ঘর ছাড়াবে বলে অনুমান।
বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই শুমারি চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণী বিভাগের মুখ্য বনপাল জেভি ভাষ্কর জানান, “গরুমারা এবং জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলে গন্ডারের সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করছি। শুমারি শেষে প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে।” শুমারিতে গন্ডারের বাসস্থানের অবস্থা এবং তাদের খাদ্যের পরিস্থিতিও মূল্যায়ন করা হবে। শুমারিতে কয়েকশো বনকর্মী এবং বন্যপ্রাণীপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আসানসোলের হস্তশিল্প মেলায় আগুন!
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে ইতিমধ্যেই গন্ডারের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। জলদাপাড়ার ডিএফও প্রবীণ কাশোয়ান জানিয়েছেন, শেষ শুমারিতে জলদাপাড়ায় গন্ডারের সংখ্যা ছিল ২৯২। এবারের শুমারিতে আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। গন্ডারের ছবি ক্যামেরাবন্দি করে প্রত্যক্ষ পদ্ধতিতে গণনা করা হবে। এছাড়া পরোক্ষ পদ্ধতিতে গন্ডারের বিষ্ঠা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষা করানো হবে, যাতে গন্ডারের বয়স, স্বাস্থ্য এবং জিনগত কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা, তা জানা যাবে।
বনাধিকারিক দ্বিজো প্রতীম সেন জানিয়েছেন, গন্ডার সংরক্ষণ এবং জঙ্গলের সার্বিক নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বন দফতরের তরফ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যাতে গন্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। ইতিমধ্যেই কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে এবং গন্ডারদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও জল নিশ্চিত করা হয়েছে।
এই শুমারি শুধুমাত্র গন্ডারের সংখ্যা নির্ধারণেই সাহায্য করবে না, বরং তাদের জীবনযাপনের বর্তমান অবস্থারও মূল্যায়ন করতে পারবে। বনকর্তারা জানিয়েছেন, গন্ডার সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে শুমারির রিপোর্টের ভিত্তিতে। পর্যটকদের সাময়িক অসুবিধা হলেও, ভবিষ্যতে একশৃঙ্গ গন্ডার দেখার সুযোগ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেখুন আরও খবর: