কোচবিহার: দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে (Heavy Rain) উত্তরবঙ্গের বহু নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে। রায়ডাক নদীর (Raidak River) জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় রবিবার সকালে জলের তোরে ভেসে গেল রায়ডাক নদীর উপর থাকা জালধোয়া ঘাটের অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো (Bridge)। যার জেরে সাঁকো দিয়ে যাতায়াত কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে। সমস্যা মেটাতে এখন নৌকাই ভরসা। এদিন সকাল থেকে নৌকায় চড়ে নদী পারাপার করতে হচ্ছে দুই পারের বাসিন্দাদের। অনেকেরই আশঙ্কা ছিল, যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে সাঁকো (Bridge)। আর এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। ফলে আপাতত জালধোয়া ঘাটের পথ দিয়ে রামপুরের সঙ্গে বক্সিরহাট ও তুফানগঞ্জের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন।
জানা গিয়েছে, প্রতিবছর শুষ্ক মরশুমে নৌকা চলাচল না করায় ঘাটের ইজারাদারের উদ্যোগে রায়ডাক নদীর জালধোয়া ঘাটের উপর অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করা হয়। ওই সাঁকো ব্যবহার করেই চলে পারাপার। বর্ষায় জলের স্রোতে সাঁকো ভেঙে গেলে যাতায়াত বন্ধ থাকে। জল কমলে নৌকায় যাতায়াত করতে হয় বাসিন্দাদের। তবে এখন নতুন সাঁকো (Bridge) তৈরির জন্য অপেক্ষা করতে হবে শুষ্ক মরশুম পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: থানায় হাজিরা দিলেন না অনুব্রত ! আজই বড় পদক্ষেপ?
তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত। যার মধ্যে রামপুর-১, রামপুর-২ ও ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ব্লকের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। গত ৪৬ বছর ধরে ওই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা রায়ডাক নদীর উপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। যে দাবি আজও পূরণ হয়নি। সেতু তৈরি হলে যেমন তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের মানুষজন উপকৃত হবেন, ঠিক তেমনই অসম-বাংলা ও ভুটানের মধ্যে যাতায়াত স্বাভাবিক হবে। যার ফলে তুফানগঞ্জ-২ ব্লক তথা তুফানগঞ্জ মহকুমা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হিসেবে পরিচিত হবে।
তবে প্রতিবারই নির্বাচনের আগে ওই সেতু তৈরি মূল ইস্যু হলেও, পরের দিকে কোনও রাজনৈতিক দলই প্রতিশ্রুতি রাখে না বলে অভিযোগ। শনিবার রাতে ও রবিবার সকালের প্রবল বৃষ্টিতে রায়ডাক নদীতে জল অনেকটাই বেড়েছে। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমে। এখন নৌকা দিয়েই পারাপার করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। তবে ফের ভারীবৃষ্টি হলে আশেপাশের বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দেখুন অন্য খবর