কলকাতা: জয়প্রকাশ মজুমদারের (Jay Prakash Majumdar) তৃণমূলে যোগদানকে হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তিনি বলেন, দলের এই জটিল সময়ে কারও হঠকারী সিদ্ধান্ত (Jay Prakash Majumdar TMC) নেওয়া উচিত নয়। সমস্যা হলে দলের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলা দরকার। একইসঙ্গে লকেট (Locket Chatterjee-Jay Prakash Majumdar) দলের ক্ষমতাশীল নেতৃত্বের উদ্দেশেও বার্তা দিয়ে বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাঁরা দলের পুরনো সৈনিক। নেতৃত্ব তাঁদের ডেকে কথা বলে সমস্যার সমাধান করুন।
বিজেপির চিন্তন বৈঠকের পর ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে জল্পনা বাড়িয়েছিলেন লকেট (Locket -Jay Prakash)।বিক্ষুব্ধদের সমর্থনে আসরে নামেন তিনি। সোমবার কলকাতার কোনও এক গোপন জায়গায় ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাসপেন্ডেড দুই নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারি ছাড়াও সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সেখানেই কমিটি নিয়ে ক্ষমতাসীন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন জয়প্রকাশ ও রীতেশ।সমালোচনা করেন লকেটও।আর সেই থেকেই জল্পনা তৈরি হয় তাঁকে ঘিরে।
পুরভোটে বিপর্যয়ের পর লকেট টুইটে আত্মসমীক্ষার কথা বলে বিতর্ক উস্কে দেন।শনিবার দলের চিন্তন বৈঠকেও লকেট ক্ষমতাসীন নেতৃত্বের সমালোচনা করেন। এই গোপন বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র এবং রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশের তৃণমূলে যোগ। স্বাভাবিকভাবে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর আঙুল উঠেছে সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তীদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন Mamata Banerjee: শৃঙ্খলা না-মানলে যত বড় নেতাই হোন…
সোমবারের চিন্তন বৈঠকের পর মঙ্গলবার জয়প্রকাশের তৃণমূলে যোগ যে একেবারেই হুগলির সাংসদের ভাল লাগেনি, তা লকেটের কথায় স্পষ্ট।একইসঙ্গে তাঁর ইঙ্গিত দলের ক্ষমতাসীন নেতৃত্ব এই পরিস্থিতি এড়াতে পারতেন।
আরও পড়ুন Mamata Banerjee: রাজ্যে গণতন্ত্রকে হত্যার চক্রান্তে লিপ্ত…