কাকদ্বীপ: লোকসভা নির্বাচনের ( Lok Sabha Vote 2024) দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু বাংলায় লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের একাধিক জেলায় চলে এল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার আগেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শুরু হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ (Central Force Route March)। বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, বসিরহাট অন্যান্য জেলার মতো বুধবার সকাল থেকে সুন্দরবন পুলিশ পক্ষ থেকে কাকদ্বীপের মল্লারচক (Mallar Chowk in Kakdwip) এলাকায় চলল কেন্দ্রীয় বাহিনীদের রুটমার্চ। ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের আগে এলাকায় কোন বিশৃঙ্খলা পরিবেশ যাতে না হয় সেদিকে কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনীদের দিয়ে রুট মার্চ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় এলাকায় পৌঁছে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন ও জানার চেষ্টা করেন যে ভোট দেওয়ার আগে কোনও হুমকি কিংবা কেউ এসে তাদেরকে ভোট না দেওয়ার জন্য বিরক্ত করছে কিনা সেসব বিষয় নিয়ে তদন্ত করছেন। এমনকি কাকদ্বীপ বিধানসভার মোল্লারচক প্রাথমিক স্কুল ও পরিদর্শন করেন। এলাকার প্রতিটি স্কুলের শিক্ষক থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওনারা। পাশাপাশি, নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
ইতিমধ্যেই শহরে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কসবা, পর্ণশ্রী, গার্ডেনরিচ, সার্ভে পার্ক, পূর্ব যাদবপুর, নিউ মার্কেট, বড়তলা, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স ও ভাঙড় থানা এলাকায় ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জলপাইগুড়িতে শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ। শিলিগুড়ি শহরের বেশ কিছু জায়গায় রুটমার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বর্ধমান শহরে রুটমার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। দেওয়ানদিঘি ও শক্তিগড় থানা এলাকাতেও তারা রুটমার্চ করে। বাঁকুড়াতে এসে পৌঁছেছে দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আরও পড়ুন:
শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে, নির্দেশ বহাল সুপ্রিম কোর্টে
ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ তিনদিন ধরে কলকাতায় সফর করছে। সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দল, পুলিশ, প্রশাসন, ভোটের কাজে যুক্ত অফিসারদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে ফুল বেঞ্চ। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কড়া নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ২০২১ ভোটের ভয়াবহ স্মৃতি যাতে আসন্ন নির্বাচনে পুনরাবৃত্তি না হয় সেই দিকে নজর রেখেই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন। মঙ্গলবার কমিশনের বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajiv Kumar Chief Election Commissioner) বলেন, বাংলায় এত দিন যা যা হয়েছে, এখনও যা যা হচ্ছে, সব কমিশনের (Election Commission) গোচরে রয়েছে। ভোটে পেশীশক্তি ও আর্থিক ক্ষমতা যাতে প্রয়োগ না করা হয়, তা দেখা হবে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট এবার করতেই হবে। না হলে দায় বর্তাবে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের উপর। কেউ ছাড় পাবেন না। পুলিশ, প্রসাসনকে সতর্কবার্তা দেন তিনি। কমিশনার বলেন, ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। এ ব্যাপারে কোনও অজুহাত শোনা যাবে না। সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা এবং ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে বৈঠকেও নির্বাচন কমিশনার কড়া ভাষায় কথা বলেন।
অন্য খবর দেখুন