বিধাননগর: পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন (West Bengal Madrasa Service Commission) পাশ প্রার্থী মঞ্চের তরফ থেকে বিকাশ ভবন (Bikash Bhavan) অভিযান চলল। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে এই অভিযান। ২০১৩ সালের বিজ্ঞপ্তির অবশিষ্ট শূন্যপদ পূরণ করতে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ না করে নতুন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ৩ হাজার ১৮৩টি শূন্যপদে নিয়োগের কথা ছিল। চাকরিপ্রার্থীদের (Job Seekers) অভিযোগ, তাঁরা শুধু প্রতিশ্রুতি পাচ্ছেন।
২০১৩ সালে ৬১৪ মাদ্রাসায় শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের (Recruitment of Teachers) জন্য অর্থ দফতর ৩১৮৩টি শূণ্যপদের জন্য অনুমোদন দেয়, কিন্তু তারমধ্যে ২০১৮ সালে প্রায় ১৩০০ শূন্যপদে নিয়োগ করে কোনও প্যানেল লিস্ট ছাড়াই। এদিকে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করে চলেছে, কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ সত্বেও তাদের নিয়োগ না করে শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ না মানায় কমিশনের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা চলছে। এই অবস্থায় ২০১৩ সালের বিজ্ঞপ্তির অবশিষ্ট শূন্যপদকে পুনরায় অর্থ দফতর থেকে অনুমোদন করে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ না করে নতুন বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে বিকাশ ভবন অভিযান। বুধবার ময়ূখ ভবন থেকে মিছিল করে বিকাশ ভবনের দিকে যাওয়ার সময় মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। এর পর চার জনের প্রতিনিধি দল মাদ্রাসা কমিশনের অধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে যায়।
এক চাকরিপ্রার্থী জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে নোটিফিকেশনের পর ২০১৪ সালে পরীক্ষা হয়। ২০১৬ সালে ফল প্রকাশিত হয়। ২০১৭ সালে ইন্টারভিউ হয়। ২০১৮ সালে কোথাও কোনও প্যানেল প্রকাশ না করে লুকিয়ে কয়েকজনকে নিয়োগ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অথচ আমরা পাশ করেছি, ইন্টারভিউ দিয়েছি, কিন্তু ২০২৩ সালে এসেও আমরা পথে পথে ঘুরছি।
আন্দোলনকারীদের দাবি, অবিলম্বে এমএসসি ষষ্ঠ এসএলএসটি ২০১৩ উত্তীর্ণ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দিতে হবে। কোনও প্রকারের বিলম্ব না করে দ্রুত নোটিস দিতে হবে। এছাড়া বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ না করে কোনও প্রকার নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যাবে না। আগে বঞ্চিতদের নিয়োগ করে তবেই নতুন এসএলএসটির বিজ্ঞাপন দিতে হবে।