কলকাতা: পুরভোটের পর কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণও হয়নি। তার আগেই খুন হয়েছেন দুই কাউন্সিলর। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর ও উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরকে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাতের এই জোড়া খুনের ঘটনার পর থেকে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। দুই জনপ্রতিনিধির মৃত্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে সোমবার বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এডিজি (সিআইডি), এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা), মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই কাউন্সিলরের খুনের প্রসঙ্গ নিয়ে বৈঠকে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনার হতে পারে। রবিবার রাতে পানিহাটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুন হন৷ এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শম্ভু ওরফে অমিত পণ্ডিতকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। নদিয়ার হরিণঘাটা থানার মোল্লাবেলিয়া মনসাতলার বাসিন্দা অমিত পেশায় গাড়িচালক।
হরিসভায় মিটিং সেরে বাড়ি ফেরার সময় আগরপাড়া রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অনুপমকে গুলি করা হয়৷ বাইকে চেপে চার দুষ্কতী তাঁকে গুলি করে পালায় বলে অভিযোগ৷ তৃণমূল কাউন্সিলর মাথায় ও কাঁধে গুরুতর চোট পান৷ পরে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি৷ সোমবার সিআইডির পাঁচ সদস্যের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছন৷ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলা ছাড়াও ঘটনাস্থলের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ নেন তাঁরা৷ পুলিস ও মৃত কাউন্সিলরের পরিবার ও অনুগামীদের সঙ্গে কথা বলেন৷ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন ও স্থানীয় দোকানদার সঙ্গে কথা বলেন৷
আরও পড়ুন: Panihati Tmc Councilor Murder: পানিহাটি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের তদন্তে সিআইডি
রবিবার সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লাগে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তপনবাবুর মৃত্যু হয়।