চোপড়া : রাতের অন্ধকারে ডাম্পারের দাপাদাপি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৫-৬ টি দোকান ভেঙে চুরমার। গাড়িটিকে আটকে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় জনতা। অসহায় দোকানের মালিকেরা পুলিশের দারস্থ হলে, ঘাতক ডাম্পারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনায় কেউ জখম হয়নি। তদন্তে চোপড়া থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে হঠাৎ প্রচন্ড শব্দে কেঁপে ওঠে চোপড়া থানার কালাগজ মাছবাজার এলাকা। মুহূর্তের মধ্যেই আশেপাশের লোকজন ঘর থেকে বাইরে বেড়িয়ে আসেন। একটি নম্বর প্লেট হীন ডাম্পার, ৫-৬ টি দোকানকে ভেঙে পানের ঘন্টি এবং সাইকেলের দোকানের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। লোকজন জমায়েত হওয়ার আগেই ডাম্পার চালক পালিয়ে যায়। ঘটনায় ৫-৬ টি দোকান ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর দেওয়া হয় চোপড়া থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুর্ঘটনাগ্রস্থ দোকানের মালিকেরা ক্ষতিপূরণের দাবি জানায়। পুলিশ ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে স্থানীয়রা বিক্ষোভ তুলে নেয়। ঘাতক ডাম্পারকে আটক করে চোপড়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
আরও পড়ুন, চা,মুড়ি ও তেলেভাজা বিক্রি করে প্রতিবাদ চাকরিপ্রার্থীদের
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকেই কালাগজ, হাপ্তিয়াগছ রাজ্য সড়কে শুরু হয় নাম্বার প্লেট হীন ডাম্পার এবং লরির দাপাদাপি। রাত বাড়তেই তা আরও বাড়তে থাকে। এর আগেও কালাগজ এলাকায় বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশকে একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও কমেনি অত্যাচার। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে দুর্ঘটনাগ্রস্থ দোকান মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে এবং রাতের অন্ধকারে চলা অবৈধ ডাম্পার এবং লরিগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে আগামীতে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
আরও অন্য খবর দেখুন