বাঁকুড়া: মা ও তার ১০ দিনের কন্যা সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার হল কুয়ো থেকে। ঘটনা বাঁকুড়া সদর থানার বাসুলীতড়া গ্রামের। সোমবার সন্ধ্যে থেকেই নিখোঁজ ছিল ঝুমা ও তার কন্যা সন্তান। অনেক খোজাখুজির করে গ্রাম সংলগ্ন একটি কুয়োর মধ্যে ঝুমার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরে সিভিল ডিভেন্সের কর্মীরা কুয়োর জল তুলে শিশু কন্যার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। অশান্তি না মানসিক অবসাদ মৃত্যুর কারন খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বছর দেড়েক আগে বাঁকুড়া সদর থানার গেলিয়া গ্রামের তরনী বাউরীর সাথে বিয়ে হয় স্থানীয় বাসুলীতড়া গ্রামের ঝুমা বাউরীর সাথে। তরনী একটি রুটি কারখানার শ্রমিকের কাজ করে। জানা গেছে স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে গত ছয় মাস ধরে তার বাপের বাড়ি বাসুলীতড়া তেই থাকত। ১০ দিন আগে ঝুমা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। সেই কন্যা সন্তান নিয়ে বাবা ও মায়ের কাছে ছিল ঝুমা। সোমবার সন্ধ্যে থেকেই নিখোজ হয়ে যায় ঝুমা ও তার ১০ দিনের কন্যা সন্তান। বাপের বাড়ির লোকজন খোজাখুজি করে খোজ পায়নি তাদের দুজনের। পরে স্থানীয় জঙ্গলের জলে ভেসে উঠে ঝুমার দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল।
কুয়ো থেকে উদ্ধার হয় ঝুমার দেহ। পরে সিভিল ডিফেন্স এসে মঙ্গলবার সকালে কুয়োর জল তুলে উদ্ধার করে ১০ দিনের শিশু কন্যার দেহ। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। নিজের কন্যা সন্তান কে নিয়ে কুয়োতে ঝাঁপ দিয়ে কি আত্মঘাতী হয়েছে মা! তবে এই আত্মহত্যার কারন কি তা জানা যায়নি খতিয়ে দেখছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। তবে প্রাথমিক ভাবে অনুমান সাংসারিক অশান্তির কারনে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। যদিও এই ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুর পর্য্যন্ত কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি।