কলকাতা: প্রেমে বাধা মেয়ে। তাই প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে মেয়েকে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন মা। এমনই অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় ১৬ বছরের ওই মেয়ে। পুলিশ তৎপরতায় হরিদেবপুর থানা থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ওই মহিলাকে। একইসঙ্গে তাঁকে সাহায্যকারী প্রেমিক পুলিশ কর্মীও গ্রেফতার হয় চন্দননগর থেকে।
to-Play | জানেন কি? চ্যাট লিস্টে স্ক্রল করে নামলেই হোয়াটসঅ্যাপে বড় চমক
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের চিঠিতে ওই মেয়ে দাবি করে যে, প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিল মা সোনালি চন্দ (৩৫)। প্রেমিক পুলিশ কর্মীর (বারাসতের) নাম প্রসূন মান্না (৪০)। অভিযোগ, মেয়েটিকে একটি ঘরে আটকে রেখে ভিতরেও গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন সোনালী দেবী। এমনকী সেই বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে দমকল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কোনও প্রকারে রক্ষা পায় ওই মেয়েটি। তারপরেই পুলিশ কাছে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, টেলিগ্রামে একটি ফেক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সোনালীর সঙ্গে কথাবার্তা চালাত প্রসূন মান্না। কথোপকথন পড়েই বোঝা যায় যে সোনালিদেবী জানতে এই ফেক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকরি আসলে প্রসূন মান্নার। আর ওই কথোপকথন থেকেই ওই কিশোরীকে খুনের ছক কষার প্রমান মেলে। গতকাল বিকেলে সোনালি চন্দকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হুগলির চন্দন নগর থেকে অপর জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।