মুর্শিদাবাদ: বিয়ের তিনদিনের মধ্যে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য দেখা দিয়েছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে। পরিবারের অভিযোগ, স্ত্রীর বাড়ির লোকজন অপহরণের পর খুন করে দেহ গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এর পিছনে স্ত্রীরও ভূমিকা রয়েছে বলে সন্দেহ মৃতের পরিবারের। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনা রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি রামপুরা গ্রামের। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃতের নাম রাম দাস। দিন তিনেক আগে পাশের গ্রামের এক যুবতীকে নিয়ে পালিয়ে যায় রাম। তারপর তাকে বিয়ে করে সে। মঙ্গলবার সকালে লিচু বাগানে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান গ্রামের লোকজন। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
মৃতের মা বলেন, আমার ছেলেকে সোমবার থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওরা অপহরণ করে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। মাঠে আজ ওর দেহ উদ্ধার হয়েছে। আমি ওই মেয়ে আর ওর বাবার শাস্তি চাই।
গত সোমবারই বীরভূমের নানুরে প্রেমে বাধা দেওয়ায় প্রেমিকার বাবাকে গাড়িতে পিষে খুনের অভিযোগ ওঠে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ওই তরুণীকে দিন সাতেক আগে তার বাবা অন্যত্র বিয়ে দেন। সোমবার নতুন জামাইকে নিয়ে মেয়েটি বাপের বাড়ি আসেন। প্রেমিক সেই বাড়ি থেকে পুরনো প্রেমিকাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। বাধা দিলে মেয়েটির বাবা কুদ্দুসকে গাড়িতে পিষে মেরে ফেলে প্রেমিক গাজু শেখ। তখন মেয়েটিও গাড়িতে ছিল। মৃতের স্ত্রী গাজু এবং মেয়ের নামে পুলিশে অভিযোগ জানান। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ গাজুকে গ্রেফতার করে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পাশের জেলা মুর্শিদাবাদে ঘটল নববিবাহিত যুবকের রহস্যমৃত্যু।
আরও অন্য খবর দেখুন
