ঝালদা: সংসদ কাণ্ডে (Parliament Security Breach) নাম জড়িয়ে যাওয়া নীলাক্ষ আইচের (Neelaksh Aich) এনজিও-র খোঁজ মিলল পুরুলিয়ায়। সাম্যবাদী সুভাষ সভা (Samyabadi Subhash Sabha) নামে একটি এনজিও-র সঙ্গে যোগ রয়েছে নীলাক্ষর বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি থানার তুনতুড়ি গ্রামে এই এনজিও-র একটি পাঠকক্ষে খোঁজ পাওয়া গেল। যদিও সংসদ কাণ্ড নিয়ে কিছু বলতে চাননি গ্রামের লোকজন।
তবে গ্রামের এক প্রান্তে এক চালার একটি ঘরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যেখানে কিছু ছাত্রছাত্রীকে কোচিং করানো হত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে গত ১৫ দিন ধরে সেখানে কাউকে দেখা যায়নি। সেখানে একটি হাজিরা খাতায় সুভাষ পাঠ চক্র লেখা দেখা যায়। গ্রামের মানুষ জানান, এলাকারই কয়েকজন যুবক এখানে পড়াতেন। বাইরের কোনও ব্যক্তিকে এখানে অবশ্য দেখা যায়নি। এই স্কুলের দায়িত্বে থাকা বিশ্বপতি কুইরি বলেন, এনজিও-তে কাজ করার সুবাদে ফোনের মাধ্যমেই নীলাক্ষর সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। এরপর আদিবাসী এলাকায় একটি কোচিং চালাবার জন্য তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। নীলাক্ষ আইচ কোনওদিন পুরুলিয়ায় আসেননি বলেও দাবি করেন বিশ্বপতি।
আরও পড়ুন: সংসদে রঙিন ধোঁয়া ছড়ানোয় বঙ্গ-যোগ?
সংসদে রঙিন ধোঁয়া (Parliament Security Breach) ছড়ানোর ঘটনার মূল চক্রী এবং পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়ানো শিক্ষক ললিত ঝায়ের (Lalit Jha) সঙ্গে বঙ্গ-যোগ মিলেছে। বিহারের বাসিন্দা ঝাকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল রাজস্থানের নিমরানার গন্ডালা গ্রামে। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান। ললিত ঝা সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত এবং বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার (NGO) সঙ্গে জড়িত। কলকাতার বেশ কিছু সামাজিক অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গিয়েছে। বাংলার পুরুলিয়া (Purulia) এবং ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলায় তাঁর বিশাল কর্মকাণ্ড রয়েছে।
হালিশহরের জেটিয়ার বাসিন্দা নীলাক্ষ আইচের (Neelaksh Aich) সঙ্গে ললিত ঝায়ের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ মিলেছে। নীলাক্ষ বিধাননগর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর মোবাইলেই সংসদে রং-ধোঁয়া ছড়ানোর ঘটনার মূল অভিযুক্ত ললিত ঝা হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিওটা পাঠান। সাম্যবাদী সুভাষ সভা (Samyabadi Subhash Sabha) নামে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান নীলাক্ষ। সেই সূত্রেই ললিতের সঙ্গে আলাপ। দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ অফিসাররা এসে এখন কথা বলছেন। ওদের সংস্থা আদিবাসী ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করায় বলে জানিয়েছেন বাবা নিলয় আইচ।