কলকাতা: ভারতের কোনও ল্যাবে ওমিক্রন টেস্ট (Omicron) করতে পাঠানো হলে, রিপোর্ট আসতে মোটামুটি পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লেগে যায়। কিন্তু, এ বার মাত্র দু’ঘণ্টাতেই শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) নতুন স্ট্রেনকে। এ জন্য নতুন একটি টেস্ট কিট তৈরি করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-এর অসম ডিব্রুগড় শাখা। আইসিএমআরের এই কিটটি বাণিজ্যিক ভাবে বাজারে আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতার এক কোম্পানিকে।
আইসিএমআরের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের চিকিত্সাত গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা ২৪ নভেম্বর থেকে ওমিক্রনের টেস্টিং কিট নিয়ে কাজ শুরু করেন। তাঁদের নয়া টেস্টিং কিটে ইতিমধ্যে ১ হাজার জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই নতুন কিটেই বিদেশ থেকে ফেরা তিন ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মেলে।
আইসিএমআর সূত্রে খবর, তাদের তরফে কাজ শেষ। টেস্ট কিটটির ব্যবহারিক অনুমতি বা লাইসেন্স মিললেই বাজারে চলে আসবে। তারা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে কলকাতার জিসিসি বায়োটেকের সঙ্গে কাজ করছে। বাণিজ্যিক ভাবে কিটটি কলকাতার এই সংস্থাই বানাচ্ছে। আইসিএমআরের আশা, আগমী সপ্তাহের মধ্যে ছাড়পত্র মিলতে পারে।
আইসিএমআরের কোভিড টেস্ট কিটটি আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতেই ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন চিহ্নিত করতে সক্ষম বলে দাবি করা হয়েছে। ওমিক্রনের চোখ রাঙানিতে এখন কেউ বিদেশ থেকে ফিরলে, আরটি-পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এলে, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নমুনা পাঠাতে হচ্ছে। সেই রিপোর্ট আসতে পাঁচ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। কিন্তু, আইসিএমআরের নতুন কিটে আরটি-পিসিআর টেস্ট হলে, আলাদা করে জিনোম সিকিয়েন্সিংয়ের প্রয়োজন পড়বে না।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের ইস্তাহারে পাড়ায় সমাধান অ্যাপ চালুর প্রতিশ্রুতি
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে অনেক আগেই গোটা বিশ্বকে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। ওমিক্রনের থাবায় ইউরোপের দেশগুলিতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছে হু। ভারতে এ পর্যন্ত ৩৫ জন ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তার মধ্যে রবিবারই নতুন করে চণ্ডীগড় ও অন্ধ্রপ্রদেশে একজন করে ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কলকাতাতেও দু’জনের আরটি-পিসিআর টেস্ট পজিটিভ আসায়, ওমিক্রন কি না, নিশ্চিত হতে কল্যাণীতে জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আইসিএমআরের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, তাঁদের নয়া কিট একবার বাজারে চলে এলে, বিদেশ থেকে ফিরে লোকজনকে উদ্বেগে কাটাতে হবে না। ওমিক্রন স্ট্রেন দ্রুত চিহ্নিত হওয়ায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও কমবে।