রাজাপুর: ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক।এফআইআরে নাম থাকা সন্দীপ কুমারকে গ্রেফতার করেছে রাজাপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, রিয়ার স্বামী প্রকাশের ভাই হল সন্দীপ। রিয়ার পরিবারের আগেই অভিযোগ করেছিল প্রকাশ ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার অভিনেত্রী রিয়া কুমারীকে খুনের অভিযোগে তাঁর স্বামী প্রকাশ কুমারকে গ্রেফতার করে বাগনান থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকাশকে জেরা করেই সন্দীপের নাম জানতে পারে পুলিশ। তারপরই শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদিন তাকে আদালতে হাজির করার সময় তিনি বলেন, আমি যদি দোষী হতাম আমি এখানে কেন আসতাম। আমি খবর দেখে জানতে পারি আমার নামে রিয়ার দাদা অজয় কুমার অভিযোগ করেছে। তাই আমি এখানে এসেছিলাম। তখনই পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে। তার দাবি, ঘটনার সময় তিনি ঝাড়খণ্ডে ছিলেন। তার নামে মিথ্যে অভিযোগ করে তাকে ফাঁসাতে চাইছে।
গতকালই পুলিশ প্রকাশকে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে উলুবেড়িয়া আদালত। উল্লেখ্য, জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রকাশের নামে বড় অঙ্কের ঋণের বোঝা ছিল। এই বড় অঙ্কের ঋণের বোঝা পুরোটাই জোগাতো ইউটিউবার তথা অভিনেত্রী রিয়া কুমারী। এমনকী প্রথম পক্ষের বউকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রকাশকে চাপও দিচ্ছিল পরিবার। পরিবারের চাপ থাকলেও প্রকাশ রিয়াকে ছাড়তে পারছিল না।
আরও পড়ুন:BrahMos Missile: আকাশ থেকে ৪০০ কিমি দূরে আঘাত হানার ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা
অন্যদিকে, রিয়া অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িত বলেও সন্দেহ করত প্রকাশ। প্রশ্ন উঠছে, এতকিছুর মাঝে প্রকাশ তার ঋণের বোঝা মাথা থেকে নামাতেই কি খুনের ছক কষেছিল? না কি স্ত্রীর অন্য কোনও সম্পর্কের জেরেই রিয়াকে খুন করা হয়েছে। কারণ ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা রিয়ার নামে বড় অঙ্কের জীবনবিমা ছিল। সে কারণেই কি বাড়ি থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে খুন রিয়াকে। এ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুরো বিষয়টিই তদন্তের জন্য ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বাগনান থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, দশ বছর আগে প্রকাশ বিয়ে করেছিল রিয়াকে। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই প্রকাশ রিয়ার সঙ্গে অত্যাচার শুরু করে। পরিবারের অভিযোগ, রিয়া কেরিয়ারে বেশি সফল ছিল। সেক্ষেত্রে কোনওভাবে কি স্ত্রীর সাফল্য মেনে নিতে পারেনি প্রকাশ? উঠছিল এই প্রশ্নও। সূত্রের খবর, ঝাড়খন্ড থানায় প্রকাশ কুমারের বিরুদ্ধে খুনের হুমকির অভিযোগ এর আগেও করেছিল রিয়া কুমারী। ছিনতাই ঘটনাটা পুরোপুরি সাজানো বলে মনে করছেন পুলিশ। ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষায় বাগনান থানার পুলিশ।