বোলপুর: জমি হরফ করে রেখেছেন অমর্ত্য সেন। দিনের পর দিন ভারতরত্ন, বর্ষিয়ান অর্থনীতিবিদ নোবেল জয়ীকে হেনস্থা বিশ্বভারতী। এবার এরই প্রতিবাদে মশাল মিছিল শান্তিনিকেতনে। সোমবার রতনপল্লি থেকে অমর্ত্য সেনের প্রতীচী বাড়ি পর্যন্ত মশাল মিছিলের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ জানাল শান্তিনিকেতনবাসী।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অভিযোগ তুলেছেন, অমর্ত্য সেন তাঁর শান্তিনিকেতনের বাড়িতে বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে বিশ্বভারতী তরফে তিনবার চিঠি দিয়ে সেই জমি ফেরত চেয়েছে বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতী তরফে ১৯৭১ সালের ভূমি দখলজারী উচ্ছেদ আইনের হুঁশিয়ারি নোটিসও দেওয়া হয়েছে অমর্ত্য সেনকে। ১৫ দিনের মধ্যে জমি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্বভারতী। না হলে বল প্রয়োগ করে জমি দখল নেওয়া হবে বলেও নোটিসে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অমর্ত্য সেনকে দিনের পর দিন হেনস্থা করে যাচ্ছেন। একজন ভারতরত্ন, বর্ষিয়ান অর্থনীতিবিদ, নোবেল জয়ী বিশ্ববরণ্যেরখ্যাত মানুষকে এভাবে হেনস্থা করার প্রতিবাদে এবার পথে নামল শান্তিনিকেতনবাসী।
এদিন শান্তিনিকেতনের রতনপল্লী থেকে একটি প্রতিবাদ মশাল মিছিল বের করা হয়। সেই মিছিল পোস্ট অফিস মোড় হয়ে শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রাঙ্গণ ছুঁয়ে অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচীতে গিয়ে পৌঁছয়। এই মিছিলের মূল স্লোগান ছিল, অমর্ত্য সেনকে হেনস্তার প্রতিবাদ। মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিল শান্তিনিকেতনের বাসিন্দারা।