কলকাতা: গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে ব্যথিত আপামর বাঙালি। শোকস্তব্ধ বিনোদন জগত৷ সন্ধ্যার মৃত্যুর খবরে কেঁদে ফেললেন শিল্পী ঊষা উত্থুপ৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা ভেবেছিলাম উনি সুস্থ হয়ে যাবেন। তবে তা হল না। সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল।’’
গত ২৬ জানুয়ারি, বুধবার সন্ধ্যা থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রবাদ প্রতিম সঙ্গীতশিল্পী। ২৭ জানুয়ারি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল তাঁর। তড়িঘড়ি গঠিত হয় মেডিক্যাল বোর্ড। এর পর গীতশ্রীর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁকে অ্যাপোলোতে স্থানান্তরিত করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ প্রয়াত হন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ও ফুসফুসে সংক্রমণ থাকা ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর৷ গত ২৬ জানুয়ারি থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন৷ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়৷ সেখানেই তিনি শ্বেস নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷
১৯৩১ সালের ৪ অক্টোবর কলকাতার ঢাকুরিয়া এলাকায় জন্ম শিল্পীর। ৬ ভাইবোনের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে ছোট। পণ্ডিত সন্তোষ কুমার বসু, অধ্যাপক এ টি ক্যানন এবং অধ্যাপক চিন্ময় লাহিড়ীর কাছে সন্ধ্যা সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ নেন। তবে তাঁর গুরু ছিলেন উস্তাদ বড়ে গোলাম আলী খানের ছেলে উস্তাদ মুনাওয়ার আলী খান। ‘সপ্তপদী’, ‘পথে হল দেরী’, ‘অগ্নি পরীক্ষা’, ‘দেওয়া নেওয়া’, ‘পিতা পুত্র’ – একের পর এক সিনেমায় তাঁর কণ্ঠের জাদু শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, আজ রাতে তাঁর দেহ পিস ওয়ার্ল্ডে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামিকাল, বুধবার ১২টা থেকে রবীন্দ্রসদনে দেহ থাকবে। গীতশ্রীর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মমতা বলেন, আর কেউ গাইবে না, তীর বেঁধা পাখি…। আধুনিক গানের এক মাইলস্টোন ছিলেন তিনি।