কলকাতা: এসএলএসটি নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলে, তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় এসএসসি। বুধবারই এসএসসিকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার এই মামলার শুনানির পরেই সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ দু’দিনের জন্য স্থগিতাদেশ দেয়। বিচারপতিদ্বয় জানান, মঙ্গলবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে অন্য মামলাগুলোর সঙ্গে এই মামলাটিরও শুনানি হবে।
ত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই দুর্নীতির বিষয়ে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন। ২৮ মার্চের মধ্যে সিবিআইকে অনুসন্ধানের (School Service Commission) প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। ওই মামলাটির শুনানি ছিল বুধবার।
এর আগেই এসএলএসটি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। কয়েক দিন আগে তিনি দুই প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। সেইমতো প্রাক্তন দুই চেয়ারম্যান হাজির হন। এজলাসে দাঁড়িয়ে অশোককুমার সাহা জানান, তিনি নিজে থেকে কোনও সই করেননি। তাঁর সই স্ক্যান করে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে। এই সুপারিশ সম্পর্কে তাঁর কিছু জানা নেই। বিষয়টি দেখতেন প্রোগ্রাম অফিসার স্মরজিৎ আচার্য এবং উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা। একই কথা বলেন আর এক প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকারও।
নিয়োগের সুপারিশপত্রে কার সই ছিল, তা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন উঠেছিল। স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ একে অপরের উপর দায় চাপায়। দুই সরকারি সংস্থাই জানায়, তারা সুপারিশপত্র দেয়নি। আদালত প্রশ্ন তোলে, তা হলে সুপারিশপত্র দিল কে?
এখানেই শেষ নয়। আদালতে অভিযোগ উঠেছিল তালিকায় নাম না-থাকা এবং পরীক্ষায় অসফল প্রার্থীরও চাকরি হয়েছে এসএলএসটিতে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন ছিল, এটা কী করে সম্ভব? এর পরেই তিনি নবম দশমে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal-CBI Case: গরুপাচার মামলায় অনুব্রতর রক্ষাকবচের আর্জি খারিজ হাইকোর্টে
কিছুদিন আগে গ্রুপ-ডি নিয়োগ মামলাতেও গুরুতর বেনিয়মের অভিযোগে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই নির্দেশের উপরেও ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ জারি করেছে।