ধূপগুড়ি: মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam 2023) চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ল একজন পরীক্ষার্থী (Examinee)। ছাত্রজীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় একটি পরীক্ষা দিতে না পারলে হয়ত নষ্ট হয়ে যেতে পারত একজন পরীক্ষার্থীর ভবিষৎ। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং হাসপাতালের তৎপরতায় পরীক্ষা দিতে পারল ছাত্রী। প্রথম অবস্থায় সেই ছাত্রী হাসপাতালের বেডে পরীক্ষা দেওয়ার মত অবস্থায় না থাকলেও পরে সে পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ধূপগুড়ি ব্লকের আংরাভাষা বংশীবদন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী গায়ত্রী রায়। গায়ত্রীর পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল গোসাইরহাট রাজামোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে। আজ ছিল ভূগোল পরীক্ষা। গত দু’দিনের মতো এদিনও পরীক্ষা কেন্দ্রে আসে গায়ত্রী। পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎ শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয় তার। দেরি না করে তড়িঘড়ি পুলিশের গাড়িতে করে তাকে ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদিকে পরীক্ষার্থীর অসুস্থতার খবর শুনে তার খাতাপত্র নিয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হন পরীক্ষকরা। হাসপাতালে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর পরীক্ষার্থীর পরিবারের আর্জিতে সেখানেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করে স্থানীয় প্রশাসন। হাসপাতালের একটি আলাদা ঘরে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে সম্পন্ন হয় ওই ছাত্রীর পরীক্ষা।
প্রসঙ্গত, মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন সোমবার অসুস্থ হয়ে পড়ে মাথাভাঙ্গার খেতি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। পরে লক্ষ্মী সরকার নামে ওই ছাত্রীর হাসপাতালে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এই বিষয়ে মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের ৪ নম্বর বিদ্যালয় পরিদর্শক জয়ন্ত অধিকারী জানান, এদিন মাধ্যমিকের অংক পরীক্ষা চলাকালীন খেতি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী লক্ষ্মী সরকার ফুলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা দিচ্ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে স্থানীয় খেতি ফুলবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই তার পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।
পাশাপাশি, মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন এদিন আরও দুই পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। মাথাভাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল মাথাভাঙ্গা বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের আর এক ছাত্র রাখিবুল মিয়াঁ। সেও অসুস্থবোধ করায় কোচবিহার সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। অন্যদিকে, তুফানগঞ্জে কৃষ্ণপুর হাইস্কুলের ছাত্রী মফিজা আক্তার পেটে ব্যথা নিয়ে এদিন তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভরতি হয়। তুফানগঞ্জে ভোগারকুঠি হাইস্কুলে পরীক্ষার সেন্টার পড়েছে তার। হাসপাতালে পরীক্ষা দেওয়ার পর তারা জানায়, তাদের পরীক্ষা ভালো হয়েছে। তাদের জন্য একজন করে ডাক্তার রাখা হয়েছিল।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় দিনের মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন বেলা আড়াইটা নাগাদ সিতাই ব্লকের চামটা আদর্শ হাইস্কুল কেন্দ্রে এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। ছাত্রীর নাম মৌসুমী খাতুন। সে সিতাই হাইস্কুলের ছাত্রী। অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই ছাত্রীকে সিতাই ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেডে বসে সে অবশিষ্ট সময়ের পরীক্ষা দেয়।