বলাগড়: জিরাট কলেজ দখল নিয়ে শাসকদলের অন্দরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। শনিবার কলেজ গেটের বাইরে কলেজের কয়েকজন ছাত্রকে নিয়ে সভা করেন বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ও কলেজ সভাপতি মাহিরুল হক। সোশ্যাল মিডিয়ার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কলেজ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রুনা খাতুন ও তপন দাসের সমালোচনা করেন তৃণমূলের বিধায়ক। এই পরিস্থিতিতে আগে কলেজ দখল নিয়ে শাসকদলের অন্দরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের দাবি।
বিধায়ক প্রকাশ্যে কলেজের ছাত্র সংগঠনের সভায় থাকা নেতা-নেত্রীদের বালি ও মাটি মাফিয়া বলে আক্রমণ করেন। পাশাপাশি জিরাটের গ্রাম পঞ্চায়ের প্রধান তপন দাসের শিক্ষকতা যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কলেজের ছাত্র সংগঠনের একাংশের দাবি, নবীনবরণ সোশ্যাল, সরস্বতী পুজো ও কলেজের উন্নতি নিয়ে সাধারণ একটি আলোচনায় ডাকা হয়েছিল হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য তথা রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রুনা খাতুনকে। তা নিয়ে জলঘোলা করল একদল নেতানেত্রী। তা মোটেই ভালো হয়নি।
আরও পড়ুন: লাগামহীন ডিমের মূল্য বৃদ্ধি, মধ্যবিত্তদের পকেটে পড়ছে টান
বিধায়ক বলেন, জিরাটের প্রধান হওয়ার জন্য ২৩ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছে লোককে। তারপর প্রধান হয়েছে। বিরোধীরা বলে, টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। তার মধ্যে এই একজন বেরিয়েছে। এর পাল্টা উত্তরে তপন বলেন, শিক্ষকতা যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ওনাকে বলছি, আমার বাড়িতে এসে পড়াশোনার রেজাল্ট দেখে যাক। আর প্রধান হওয়ার জন্য তিনিই ও ব্লক সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায় সুপারিশ করেছিলেন। তাতে উনি কত টাকা ভাগ পেয়েছে আমার থেকে? কলেজে ন্যাক আসবে তাই কলেজের সামনের রাস্তাটি ঠিক করার আবেদন করেছিলেন প্রিন্সিপাল। তাই গিয়েছিলাম কলেজে। পরে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করে কলেজের উন্নতি কীভাবে হয়, সে প্রসঙ্গে তাদের পরামর্শ দিয়েছি। বিধায়কের এই মন্তব্যে আমার রাজনৈতিকভাবে জয় হল।