কলকাতা: তৃণমূলের (TMC) লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Sudip Banerjee) লেখা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Giriraj Singh) একটি চিঠিকে ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। ওই চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে তৃণমূল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি।
১০০ দিনের কাজের টাকা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার প্রতিবাদে কেন্দ্রকে বারবার চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার। সভা-সমতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রীরা এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতবাদের ঝড় তুলেছেন। দিল্লিতে ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ঘেরাওয়ের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সাংসদরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেন। গত ৫ এপ্রিলও সুদীপরা মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেন।
আরও পড়ুন:Purba Bardhaman | কালনার উপ-পুরপ্রধান নিয়মিত স্কুলে আসেন না, অভিযোগ অভিভাবকদের
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেই প্রসঙ্গ তুলেই গত ১৮ এপ্রিল সুদীপকে এক চিঠিতে জানান, তাঁদের স্মারকলিপি বিষয়বস্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। গিরিরাজের সেই চিঠি নিয়েই তৃণমূল নানা কটাক্ষ শুরু করেছে। একের পর এক টুইটের বন্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ভাসিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। দলের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, গিরিরাজই যদি সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী হন, তাহলে তিনি ওই চিঠি বা স্মারকলিপি আবার কাকে পাঠালেন। শুক্রবার তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর লেখা ওই চিঠিটি পোস্ট করা হয়। সেই চিঠিতে, নারেগা এবং আবাস যোজনার পাওনা টাকার দাবির প্রাপ্তি স্বীকারও করা হয়েছে। তৃণমূলের টুইটে বলা হয়েছে, মন্ত্রী তাঁদের স্মারকলিপি কোন অদৃশ্য দফতরে ফরওয়ার্ড করলেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ওই চিঠি নিয়ে একের পর এক টুইট করেছেন ডেরেক ও ব্রায়েন, সুস্মিতা দেব সহ একাধিক নেতা-নেত্রী। ডেরেক লিখেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমাদের চিঠি নিজের দফতরেই পাঠিয়েছেন। এরই নাম নিউ ইন্ডিয়া। একেবারে খাটি সোনা। সুস্মিতা দেব লেখেন, একজন মন্ত্রী যে কোনও মনঃসংযোগই ঘটান না, এটা তারই নজির।