মুর্শিদাবাদ: তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে (Trinamool Bjp Clash) ফের উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রামে দু পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন এক তৃণমূল কর্মী। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে প্রতিবেশী এক মহিলা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হন। দুজনকেই কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনাকে ঘিরে রাত পর্যন্ত উত্তেজনা ছিল খড়গ্রামের নলদ্বীপ গ্রামে। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসান হয়েছে। পুলিশ (Police) জানায়, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর নাম সফিক শেখ, জখম মহিলার নাম মর্জিনা বিবি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল (TMC) কর্মী সফিক এবং বিজেপি কর্মী শাখা শেখের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শাখার পরিবার সফির উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ।তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিও চলে। তাতেই তিনি গুরুতর জখম হন। সফিকে বাঁচাতে গেলে মর্জিনাকেও ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনার পরই শাখার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। বুধবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ তাদের খোঁজ পায়নি।
সফিকের পরিবার জানিয়েছে, শাখা এবং পরিবারের অন্যান্যরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি (BJP) করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। তাতে রাজি না হওয়াতেই সফিকের উপর এই হামলা। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ওই অভিযোগ অস্বীকার করে। স্থানীয় বিজিপি নেতা অমিত সাহা বলেন, বিজেপি সর্বভারতীয় ও সুশৃঙ্খল দল। আমাদের কর্মীরা কখনও কাউকে দল বদল করার জন্য চাপ দেয় না। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।
আরও পড়ুন:Dhanbad Fire: ধানবাদের বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০ মহিলা, ৩ শিশু সহ মৃত ১৪! আহত অনেকে
পুলিশ ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকালে মুর্শিদাবাদ (Murshidabd) জেলাতেই ফরাক্কার কেন্দুয়াতে দুই পড়শির ঝামেলাকে কেন্দ্র করে বোমা ও গুলি চলে, ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়। জেলা কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই শাসকদল অস্ত্রশস্ত্রের মজুতদারি বাড়াচ্ছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত জেলা থেকে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বোঝাই যাচ্ছে, পুলিশ (Police) কোনও অস্ত্রই উদ্ধার করেনি। বরং শাসকদল সমানে অস্ত্র ভাণ্ডার গড়ে তুলেছে জেলায় জেলায়। শাসকদল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।