বোলপুর: শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) বিতর্কিত রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করল বিশ্বভারতী (Visva Bharati)। শান্তিনিকেতন পোস্ট অফিস মোড় থেকে কালিসায়র পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তায় টোটো, ছোট চার চাকার গাড়ি ও ভারী যানবাহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ফলে সমস্যার মুখে সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ (Police)।
সদ্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেয়েছে শান্তিনিকেতন। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের সুপারিশ অনুযায়ী, শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলির পাশের রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল ঠিক নয়। এতে ক্ষতি হতে পারে শতাব্দী প্রাচীন রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিধন্য বাড়ি ও ভাস্কর্যগুলির। শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেয় এই রাস্তা বিশ্বভারতীকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। ওই রাস্তা যাতে রাজ্য সরকার বিশ্বভারতীকে ফেরত না দেয়, তার জন্য শান্তিনিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিক থেকে শুরু করে স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেয়। যদিও সরকারি ভাবে শান্তিনিকেতনের এই সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা এখনও রাজ্য সরকারের অধীনে।
আরও পড়ুন: হাওড়ার আমতার রসপুরের রায় পরিবারের পুজোর সঙ্গে মিশে রয়েছে ইতিহাস
শান্তিনিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালে বিশ্বভারতীর কাছ থেকে এই রাস্তা ফিরিয়ে নেন। রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা রাস্তায় কীভাবে অনুমতি ছাড়াই যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করল বিশ্বভারতী, তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
সম্প্রতি বিশ্বভারতীর জমি নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষিতে বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদ নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেনকে জমি হাঙর বলেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। মমতার নির্দেশমতো শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। আবারও রাজ্য সরকারের রাস্তায় বিশ্বভারতীর যান নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে সংঘাত যে বাড়ল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
দেখুন আরও অন্য খবর: