পানাগড়: পানাগড়ের ঘটনায় কোন ইভটিজিং-এর ঘটনা ঘটেনি। রেষারেষির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানালো পুলিশ। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল? সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
সোমবার সকালে ঘটনার খবর সামনে আসে। গতকাল অর্থাৎ রবিবার গভীর রাতে একটি ছোট গাড়িতে করে চালক সহ ৫ জন চন্দন নগর থেকে গয়ার উদ্যেশ্যে রওনা দিয়েছিল। বুদবুদে একটি পেট্রোল পাম্পে কয়েকজন যুবক তাদের কটূক্তি করে। এমনকি গাড়ি করে পানাগড় পর্যন্ত ধাওয়াও করা হয়। পানাগড় বাজারের রাইসমিল রোডের মুখে তাদের গাড়িও আটকানো হয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ভয়ে চন্দন নগরের ওপর গাড়িটি রাইস মিল রোডে দ্রুত গতিতে ঢুকিয়ে দেয়। এরপর গতি সামলাতে না পেড়ে প্রথমে একটি দোকানে ধাক্কা মারে। তারপর রাস্তার ধারে পরে থাকা লোহার যন্ত্রাংশে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। গাড়িতে থাকা মহিলার মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। মৃতার নাম সুচন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। পেশায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী তিনি।
আরও পড়ুন: ইভটিজিংয়ের শিকার, মৃত্যু হল এক যুবতীর!
ঘটনা সম্পর্কে গাড়ির চালক রাজেশ শর্মা বলেন, “ওরা খালি ওভারটেক করার চেষ্টা করছিল। গাড়িটাকে ডিভাইডারে তুলে দেওয়ার চেষ্টাও করেছিল, কিন্তু পারেনি। আমি থানার রাস্তা ধরি, তাও ওরা বাদিক থেকে এসে ফের ধাক্কা মারে, গাড়ি উল্টে যাওয়ায় ম্যাডামের ওখানেই মৃত্যু হয়।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিশ। দুটি গাড়িকে আটক করার পাশাপশি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। হয়। অন্যদিকে যারা কটূক্তি করছিল, তাদের এখনও সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। আহতদের কাঁকসার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দেখুন অন্য খবর