বীরভূমের সাঁইথিয়ায় বোমা বিস্ফোরণের (Birbhum sainthia bomb blast) ঘটনার তদন্ত এনআইএ (NIA) করবে কি না, তা কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের উপরই ছেড়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট বলে, বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকার (Centre) এবং এনআইএ (NIA)-র বিষয়। তাই তারাই সিদ্ধান্ত নেবে, জাতীয় তদন্ত সংস্থা (central investigation agency) তদন্ত করবে কি না, সেই ব্যাপারে।
গত ২৪ নভেম্বর সাঁইথিয়ায় শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর(tmc inner clash) মধ্যে তুমুল মারামারি হয়। বোমা বিস্ফোরণে তৃণমূলের এক কর্মীর পা উড়ে যায় (tmc worker injured in blast)। ঘটনায় আর এক শিশু জখম হয়(child injured in blast)। বিজেপি (BJP) ওই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি করে। বিজেপি কলকাতা হাইকোর্টে এ ব্যাপারে একটি জনস্বার্থ (PIL) মামলাও করে। সেই মামলারই শুনানি ছিল সোমবার।
আরও পড়ুন: WB assembly ruckus: বিধানসভায় হইচই, অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা স্পিকারের
গোটা বীরভূম (Birbhum) জেলাই এখন বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে বলে বিরোদীদের অভিযোগ। জেলার বিভিন্ন অংশে প্রায় রোজই বোমা উদ্ধার হচ্ছে, পাওয়া যাচ্ছে অস্ত্রশস্ত্রও (bomb and arms recovery)। পাশাপাশি শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষও (inner clash) প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোট (panchayet elections) যত এগিয়ে আসবে, তত বোমা মজুদের বহর বাড়বে।
শুধু বীরভূম জেলা কেন, রাজ্যের বহু জেলায় এখন শাসকদলের নানা গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি চলছে। গত সপ্তাহেই বসিরহাটের মিনাখাঁতে (Minakhan in Basirhat) এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তাঁরই ভাগ্নির। জখম হয় সেই নেতার কিশোরী কন্যা-সহ আরও এক কিশোরীর। সোমবারই হুগলির ব্যান্ডেলে (Bandel in Hooghly) একটি প্রাথমিক স্কুল চত্বরে বোমা পাওয়া যায়। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধীদের ভয় দেখানোর জন্য শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এখন থেকেই বোমা মজুত করছে। তৃণমূল অবশ্য এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।