কলকাতা: বিজেপিতে গোষ্ঠী কোন্দল প্রকট? শোনা যাচ্ছিল, ডিসেম্বর মাসে বিজেপির রাজ্য সভাপতির (State President) বদল হতে পারে। তা নিয়ে রাজ্য বিজেপিতে নানা গুঞ্জন রয়েছে। মঙ্গলবার বিধানসভা (Assembly) চত্বরে দেখা গেল, শুভেন্দু অধিকারী বেরিয়ে গেলেন। তারপরেই সেখানে ঢুকলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। দুজনের মধ্যে ফাটল কি চওড়া হচ্ছে?
এদিন বেলা একটা পঞ্চাশ মিনিটে বিধানসভা চত্বর থেকে বেরিয়ে যান বিরোধী দলনেতা (Opposition)। বেরোনোর সময় তিনি জানান, তাঁর অনেক কাজ আছে। আর অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। এরপরই বিধানসভায় আসেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বিধানসভায় বিজেপির (Bjp) কক্ষে তখন হাতে গোনা কয়েকজন বিধায়ক (Mla)। অধিকাংশ বিধায়কই বিধানসভার অধিবেশনে ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই বেরিয়ে যান সুকান্ত।
প্রশ্ন: আপনি এলেন, শুভেন্দু বেরিয়ে গেলেন, কী বলবেন?
আরও পড়ুন: Protest in Assembly: ডেঙ্গি ইস্যুতে বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত বিধানসভা
সুকান্ত: আমার আসতে কিছুটা দেরি হয়েছে।
প্রশ্ন: আপনাকে শুভেন্দু ফোন করেছিলেন?
সুকান্ত: না। ফোনে আমাদের মধ্যে কোনও কথা হয়নি।
প্রশ্ন: তৃণমূল বলছে, আপনাদের মধ্যে তুমুল গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে?
সুকান্ত: দেড় মাস আগে শুভেন্দু আমার বাড়িতে গিয়েছিলেন। অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। কিছুদিন আগেও একটি অনুষ্ঠানে দুজনেই উপস্থিত ছিলাম। এইগুলো রটনা। তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল আছে। তাই তারা বিজেপির কথা বলে।
প্রশ্ন: ডিসেম্বরে নাকি ধামাকা হবে?
সুকান্ত: যিনি বলেছেন তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন।
প্রশ্ন: রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বোমা-গুলির লড়াই চলছে, কী বলবেন?
সুকান্ত: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই এই ঘটনা বেশি করে বাড়ছে। পুলিশ তো দলদাসে পরিণত হয়েছে।
বিধানসভার লনেও দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান বিজেপির বিধায়করা। বাসের ড্রাইভার এবং সাধারণ যাত্রীদের হাতেও মশারি তুলে দেওয়া হয়। শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন,
বিধানসভায় বহুদিন কোনো সচিব নেই। বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করা বা আমাদের কোনও কর্মসূচি করতে দেওয়া হয় না। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শাখাওয়াতকে “জল জীবন মিশন” নিয়ে চিঠি দিয়েছি। পাইপ, ফেরুল কেনা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। ১০০ দিনের কাজে হিসেব দিলেই সব মিটে যেত। আমরা চুরি দুর্নীতির বিরুদ্ধে। একটি গ্রামে হাউস হোল্ড যা তার থেকে দ্বিগুণ কার্ড বিলি করা হয়েছে।