কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে (Teacher Recruitment Scam) ‘ডাকাতি’ করা হয়েছে বলে আদালতে জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)। তদন্তে এত দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিচারককে ইডির আইনজীবীরা বলেন, নিয়োগের নামে ডাকাতি হয়েছে। সেই ডাকাতদের খুঁজে বার করতে সময় লাগছে।
স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও বড় কোনও আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে আসতে চলেছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের স্পেশ্যাল সিবিআই আদালতে তোলা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee)। পার্থর আইনজীবী (Lawyer) এদিন জামিনের আবেদন করেননি।
আরও পড়ুন: Contai Arrest: ১০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার অধিকারী-পরিবার ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার
এদিন ইডির আইনজীবী আদালতে আরও জানান, প্রচুর ভুয়ো সংস্থা খুলে তাদের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন হয়েছে। আইনজীবী বলেন, কেউ কি আর নিজে থেকে বলবে যে তার কাছে টাকা রাখা হয়েছে। সেই টাকা নিয়ে যাও। এসব খুঁজতেই সময় লাগছে। যে নগদ ৪৮ কোটি টাকা অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া গিয়েছে, সেই টাকা কোথা থেকে এল, তা জানতেও সময় লাগছে। এছাড়াও প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।
এদিকে, পার্থর আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন, তাঁরা এখনও ইডির কাছ থেকে বহু নথি পাননি। মাত্র তিনটি সিডি দেওয়া হয়েছে। তার থেকে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। তাই ইডির কাছে সেসব নথির হার্ডকপি (Hardcopy) চাওয়া হয়েছে। সেই কারণে এদিন পার্থর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেননি। ইডি এক মাসের জন্য পার্থকে রিমান্ডে চেয়েছে।
সেই প্রসঙ্গে পার্থর আইনজীবী জানান, ১৪ দিনের বেশি হেফাজত চাওয়া যায় না। সেখানে অনেক বেশি দিনের জন্য কীভাবে হেফাজতে চাইছে ইডি? বিচারকও জানতে চান, কেন এক মাসের রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে? ইডি আদালতে জানায়, সিডিতে সব বলা আছে। পার্থ এবং মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharjee) যোগসাজশে এতবড় আর্থিক কেলেঙ্কারি (Financial Scam) হয়েছে।