রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধী দলকে নানা ধরনের অনুষ্ঠান বা কর্মসূচি পালন করতে বাধা দেওয়া বা পুলিশি হয়রানির (Harassment) অভিযোগ আগেই ছিল। এবার খোদ শাসক দলের তরফেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (Factionalism) কারণে দলীয় কর্মসূচিতে অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। যার জেরে ইতিমধ্যেই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ক্যানিং ব্লকের হাটপুকুরিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের (AITC) তরফে আগামী ১লা জানুয়ারি সকাল থেকে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বস্ত্রদান এবং গজল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ এই অনুষ্ঠানে আইন মেনে মাইক বাজানোর অনুমতি চেয়ে হাটপুকুরিয়া অঞ্চল তৃণমূলের তরফে ক্যানিং থানায় (Police Station) আবেদন জানানো হয়।
কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে আগামী ১লা জানুয়ারি ঐ এলাকায় কোন বিশেষ অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেয় ক্যানিং থানার পুলিশ। নোটিসে বিশেষ করে উল্লেখ করা হয় “আপনাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। সেজন্য ১লা জানুয়ারি এলাকার সমস্ত বিশেষ অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।”
স্থানীয় থানার তরফে এলাকায় এই অনুষ্ঠান করার অনুমতি না পেয়ে মঙ্গলবার বারুইপুর জেলা পুলিশের সুপারের দফতরে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই অনুষ্ঠান করতে যাতে পুলিশ সুপার অনুমতি দেন সে বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, হাটপুকুরিয়া অঞ্চল তৃণমূলের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ (MP) প্রতিমা মণ্ডল, ক্যানিং ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের বিদায়ী সভাপতি শৈবাল লাহিড়ীর উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
উল্লেখ্য, ক্যানিংয়ে দীর্ঘদিন ধরেই শৈবাল লাহিড়ীর সাথে বিবাদ রয়েছে বিধায়ক (MLA) পরেশরাম দাসের অনুগামীদের। বিধায়ক পরেশরাম দাসের দাবি, অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ঘরামী গত বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই আইএসএফ-এর (ISF) হয়ে এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীকে হারানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছিলেন। ভোটের (Election) পরেই সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কোন দলীয় কর্মসূচির সাথে তিনি যুক্ত নন। নেতৃত্বকে সব জানানো হয়েছে। এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন সিরাজুল। পরিস্থিতি দেখে কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা। বিজেপির দাবি, বিধায়কের নির্দেশেই এই অনুমতি দেয়নি পুলিশ।